আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রোমানিয়ায় পৃথক অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৩২ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারদের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকরাও রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন : বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারের সুযোগ নেই
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রোমানিয়া জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশনের তথ্য ও জনসংযোগ কার্যালয় জানায়, মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) হাঙ্গেরি সীমান্তের নিকটবর্তী দেশটির আরাদ ইমিগ্রেশন সার্ভিসের সদস্যরা ভারত ও পাকিস্তানের ২০ অভিবাসীকে আটক করেছে।
অভিবাসীদের সবাই ১৯ থেকে ৩৫ বছর বয়সী। তাদের মধ্যে ১২ জন ভারতের এবং ৮ জন পাকিস্তানের নাগরিক।
আরও পড়ুন : গণতন্ত্র হুমকির মুখে
আইজিআই আরও জানিয়েছে, রোমানিয়া থেকে ফেরত না পাঠানো পর্যন্ত এসব অভিবাসীকে আরাদব ইমিগ্রেশন সার্ভিসের আবাসন কেন্দ্রে আটক রাখা হবে। তারা প্রতারণার মাধ্যমে রোমানিয়া থেকে শেঙেন সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন।
রোমানিয়া সীমান্ত পুলিশ জানায়, নাদলাক বর্ডার পয়েন্ট থেকে একটি ভ্যানে লুকিয়ে থাকা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের ১২ জন নাগরিককে শনাক্ত করেছে স্থানীয় সীমান্তরক্ষীরা।
আরও পড়ুন : চলছে ৩ পণ্যের উপর মনিটরিং
অভিবাসীদের পরিবহন করা গাড়িটির চালকের বিরুদ্ধে অভিবাসী পাচারের দায়ে বিচারিক তদন্ত শুরু হয়েছে। ১৯ বছর বয়সী চালক রোমানের নাগরিক। তিনি রোমানিয়ায় নিবন্ধিত ভ্যান নিয়ে কাস্টমস পয়েন্টে হাজির হয়েছিলেন। তিনি প্রাথমিকভাবে রোমানিয়া-ফ্রান্স রুটে পণ্য পরিবহনের তথ্য দিয়েছিলেন। তবে তার অতীত রেকর্ড ঝুঁকিপূর্ণ মনে হওয়ায় গাড়িটি তল্লাশি করার সিদ্ধান্ত নিলে সেখান থেকে অভিবাসীদের আটক করা হয়। সংশ্লিষ্ট অভিবাসীদের তদন্তের জন্য সীমান্ত অঞ্চলের পুলিশ সদর দপ্তরে নেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানিয়েছে, অভিবাসীরা বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ভারতের নাগরিক। তারা বৈধভাবে রোমানিয়ায় এসেছিলেন। তবে তাদের চূড়ান্ত গন্তব্য ছিল বেআইনিভাবে পশ্চিম ইউরোপের কোনো একটি দেশে পৌঁছানো।
আরও পড়ুন : উন্মুক্ত করা হলো কাপ্তাই হ্রদের গেট
উভয় ক্ষেত্রেই অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সময় রোমানিয়ায় বিদেশিদের অধিকার সংক্রান্ত সংশোধিত কার্যবিধির জিইও নং ১৯৪/২০০২-এর অধীনে সংশ্লিষ্টদের সবাইকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবগুলো সদস্য রাষ্ট্র, ইউরোপীয় অর্থনৈতিক এলাকা এবং সুইস কনফেডারেশনে প্রবেশে পাঁচ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।
সান নিউজ/এমআর