প্রবাস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ওয়েইনকাউন্টি কমিউনিটি কলেজের গ্র্যাজুয়েশন কোর্সে দারুণ সাফল্য পেয়ে উচ্ছ্বসিত প্রবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। গ্র্যাজুয়েশন শেষে কর্মক্ষেত্রে সফলতার মুখ দেখছেন তারা। এছাড়া ভর্তি হচ্ছেন ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানে ভারী বর্ষণে নিহত ২৫
শনিবার (১০ জুন) জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ওয়েইনকাউন্টি কমিউনিটি কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
গ্র্যাজুয়েটদের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই বিবাহিত। জীবিকার তাগিদে তারা নানা পেশায় যুক্ত থেকেও কাজের ফাঁকে পড়াশোনা করে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। সেই সাথে কর্মক্ষেত্রেও পেয়েছেন সফলতা।
আরও পড়ুন : ভূমিকম্পে কাঁপল দক্ষিণ আফ্রিকা
ডিগ্রি লাভের পর দশক সারিতে থাকা গ্র্যাজুয়েটদের পরিবারের সদস্যরাও উচ্ছ্বসিত ছিলেন।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানের দশক সারিতে বসা সেলিনা কবির চৌধুরী জানান, আমার স্বামী গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি সার্টিফিকেট গ্রহণ করছে। এটি অন্যরকম এক অনুভূতি। আমি সত্যিই আনন্দিত।
আরও পড়ুন : গণধর্ষণের ভিডিও ধারণ, আটক ৪
এ বিষয়ে ওয়েইনকাউন্টি কমিউনিটি কলেজের বোর্ড অব ট্রেজারি এএসএম এন রহমান জানান, এক দশক আগেও শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রবাসী বাংলাদেশি পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ কম ছিল। সে অবস্থানের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। নতুন প্রজন্মের পাশাপাশি তরুণ পেশাজীবীদেরও শিক্ষায় অংশগ্রহণ বাড়ছে।
তিনি আরও বলেন, মিশিগানে ৩১ টি পাবলিক কমিউনিটি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে ওয়েইন কাউন্টি কমিউনিটি কলেজ থেকেই ১০০ জনের বেশি বাংলাদেশি ও অ্যারাবিক শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন।
এ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মিশিগান স্টেট সেক্রেটারি বেনসনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১২০০ গ্র্যাজুয়েটের সাথে কয়েক হাজার স্বজনদের উপস্থিতি ছিল।
আরও পড়ুন : জামায়াত নিষিদ্ধ হয়নি, সেজন্য অনুমতি
গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রিধারী শাজাহার হোসেন আহমেদ বলেন, কমিউনিটি কলেজ থেকে সাশ্রয়ী খরচে ২ বছর মেয়াদি গ্র্যাজুয়েশন করা যায়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক প্রণোদনার পাশাপাশি কম আয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা পয়সায় পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, গত বছর তার স্ত্রী সেলিনা কবির চৌধুরী এবং এ বছর তিনি গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। কোনো টাকা-পয়সা লাগেনি। উল্টো স্টাইপেন্ড হিসেবে প্রতি মাসে ৯৬০ ডলার করে পেয়েছেন। আরলি চাইল্ডহোড নিয়ে সার্টিফিকেট অর্জনে দারুণ খুশি তিনি। ডিগ্রি অর্জন করায় তার স্ত্রী সেলিনা কবির চৌধুরী ও তার শিক্ষক হিসেবে চাকরি হয়েছে।
আরও পড়ুন : কাজাখস্তানে দাবানল, নিহত ১৪
অভিভাবক উবায়দুর রহমান বলেন, তার ২ কন্যা শাহিমা তাসমিন রহমান ও মায়শা তাসমিন রহমান জেনারেল স্টাডিজে গ্র্যাজুয়েশন করে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানে সাইবার সিকউরিটি বিষয়ে পড়ছে। শুধু শুধু অর্থের পেছনে না দৌড়ে অভিভাবকদের উচিত বাচ্চাদের পড়াশুনায় আগ্রহী করে তোলা। কারণ আমাদের এ প্রজন্ম অনেক মেধাবী। তারা পরীক্ষায় অনেক ভালো রেজাল্ট করছে।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন ডিগ্রিপ্রাপ্ত মিনতি চৌধুরী। ফল ভালো হওয়ায় গোল্ডেন ট্রাসেল মেডেল পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তিনি জানান, গ্র্যাজুয়েশন শেষ হওয়ায় ইলিমেন্টারি স্কুলে শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন : স্বাস্থ্যখাতের গবেষণায় পিছিয়ে রয়েছি
মিনতি আরও জানান, ২০১৯ সালে আমেরিকা এসে করোনা মহামারির মধ্যে পড়ে হতাশ হয়েছিলেন তিনি। তবে গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেট হাতে পেয়ে ভালো লাগছে তার।
সান নিউজ/এনজে