নিজস্ব প্রতিনিধি, কুয়ালালামপুর: ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ও মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন পুলিশ। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুয়ালালামপুরের আমপাংয়ে নিজ বাসা থেকে খায়রুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি মালয়েশিয়ায় শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী একজন বাংলাদেশি। তিনি জানান, খায়রুজ্জামানকে বুধবার সকালে কুয়ালালামপুরের আমপাং এলাকায় তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা মনে করছি তাকে দ্রুত মালয়েশিয়া থেকে ফেরত পাঠানো হবে।
আটকের পর খায়রুজ্জামানের আইনজীবী এ এস ডালিওয়াল অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন। আইনজীবী বলেছেন, কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই খায়রুজ্জামানকে আটক করা হয়েছে।
নোটিশে আইনজীবী এ এস ডালিওয়াল উল্লেখ করেন, মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান (UNHCR নং 354-10C02267) নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই আটক করেছে।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, ইউএনএইচসিআর কার্ডধারী হিসেবে খায়রুজ্জামানের মালয়েশিয়ায় থাকার অধিকার রয়েছে। এ সময় তিনি জানান, খায়রুজ্জামানকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি না দেয়া হলে রিট করবেন বলে জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জায়েদকে নিষিদ্ধ করল ১৮ সংগঠন
প্রসঙ্গত, হেবিয়াস কর্পাস একজন বন্দি বা বন্দিকে আদালতের সামনে আনার জন্য ব্যবহৃত হয় যে ব্যক্তির কারাদণ্ড বা আটক আইনানুগ কিনা নিশ্চিত হতে। ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান খালাস পেয়ে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় ফিরে আসার জন্য বলা হয়। দেশে ফিরে আসা ঝুঁকি মনে করে তিনি কুয়ালালামপুর থেকে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নেন এবং সেখানেই থেকে যান।
সান নিউজ/এমকেএইচ