কূটনৈতিক প্রতিবেদক: ইরাকের রাজধানী বাগদাদে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে।
রোববার (১৫ আগস্ট) বিধিনিষেধ মেনে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ও ইরাকস্থ প্রবাসীদের অংশগ্রহণে দিবসটি পালন করা হয়। দিবসের শুরুতে সকাল ৭টায় দূতাবাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করা হয়। বেলা ১১টায় দূতাবাসে আগত সকলের কালো ব্যাজ ধারণ ও রাষ্ট্রদূত মোঃ ফজলুল বারী উপস্থিত সকলকে নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
পরে উপস্থিত দূতাবাস সদস্য ও কমিউনিটির অংশগ্রহণে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কীর্তিময় জীবন ও একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর অসামন্য কৃতিত্ব, ত্যাগ ও অবদানের কথা তুলে ধরেন। তাঁরা ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এ বর্বর হত্যাকাণ্ডের প্রতি তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আলোচনা সভায় মোঃ ফজলুল বারী নতুন প্রজন্মের মধ্যে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও সংগ্রামী জীবন-আখ্যান, আদর্শ ও দর্শনের প্রচারের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার ও বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনুরোধ করেন।
রাষ্ট্রদূত দেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের প্রশংসনীয় আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন হতে তেলাওয়াত এবং ১৫ই আগস্ট ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে শহীদ জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। নীরবতা শেষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ।
সান নিউজ/এফএআর