কূটনৈতিক প্রতিবেদক: ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের অংশ হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের উপর চার দিনব্যাপী দ্বিতীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে এবং ইয়াংওয়ান করপোরেশনের সহযোগিতায় তাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আলোকচিত্রের প্রদর্শনীটি চলছে। প্রদর্শনীটি আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সিউলে শুরু হওয়া প্রদর্শনীটি শুক্রবার (৬ আগস্ট) শেষ হবে বলে জানিয়ে সিউল দূতাবাস। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দূতাবাস এ তথ্য নিশ্চিত করে।
অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম এবং ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান সাং কি-হাক ফিতা কেটে যৌথভাবে প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন। এ সময় আমন্ত্রিত অতিথি ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি গত ৯-১৩ জুলাই সিউল শহরের প্রাণকেন্দ্র গাংনামের থিও গ্যালারিতে কোরিয়ান কালচার অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাতির পিতার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং অবদানের প্রতি আলোকপাত করে তিনি বলেন, প্রদর্শনীর আলোকচিত্রগুলোতেও তাঁর সেই সুবিশাল কর্মযজ্ঞ প্রতিফলিত হয়েছে।
সাং কি-হাক বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যৌথভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করতে পেরে গভীর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এই প্রশংসনীয় উদ্যোগের সাথে ইয়াংওয়ান করপোরেশনকে সম্পৃক্ত করার জন্য তিনি সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিস্ময়কর আর্থ-সামাজিক অগ্রযাত্রার কথাও তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকবৃন্দ, সুশীল সমাজের সদস্যবৃন্দ এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকগণ অংশগ্রহণ করেন। আগত অতিথিবৃন্দকে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র কোরিয়ান সংস্করণ উপহার দেয়া হয়। প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী', ‘বঙ্গবন্ধু দ্য পিপল’স হিরো'-এর কোরিয়ান সংস্করণসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর অন্যান্য প্রকাশনা প্রদর্শন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারি এবং সেই সাথে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণও সম্প্রচার করা হয় যা প্রদর্শনীর শেষ দিন পর্যন্ত চলমান থাকবে। প্রদর্শনীতে আগত অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবারে আপ্যায়িত করা হয়।
সান নিউজ/এফএআর