প্রবাস

অস্ট্রেলিয়ার আইনজীবী হতে যাচ্ছে গারো তরুণী

সাননিউজ ডেস্ক : মিজ এলিনোর রেমা। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী গারো তরুণী। প্রথম গারো হিসেবে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় আইন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন। ডিগ্রি সম্পন্ন করে তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম বাংলাদেশি গারো আইনজীবী হওয়ার পথে।

১৯৯৩ সালে পাঁচ বছর বয়সে এলিনোর তার পরিবারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া যান। এলিনোর একটি আদর্শ শৈশব পেয়েছেন, বাবা-মা সবসময় তার উপযুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সচেষ্ট ছিলেন।

এলিনোর বলেন, তার পরিবারের সদস্যরাও ভারত ও বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ায় বাস করেন। তবে অস্ট্রেলিয়ায় তার কমিউনিটির খুব বেশি মানুষ নেই, বিশ জনের কিছু বেশি হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমার মায়ের পরিবার ময়মনসিংহের বিরিশিরি অঞ্চলে। আমার নানা গারো সম্প্রদায় থেকে প্রথম কলেজ ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। তিনি ব্যাচেলর অব আর্টস ডিগ্রি সম্পন্ন করে স্থানীয় স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। বাবা ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার এবং দাদা ছিলেন আমাদের সম্প্রদায়ের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষা লাভকারী প্রথম ব্যক্তি। তিনি বাংলাদেশে কৃষিবিজ্ঞানে অনার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন এবং সরকারি বৃত্তি নিয়ে ইংল্যান্ডে ও অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করেন।’

এলিনোর শৈশব জীবন সম্পর্কে বলেন, ‘অন্যান্য অভিবাসীদের মতোই আমার বাবা-মা কষ্ট করেছেন আমাদের দুইবোনকে বড় করতে। তারা আমাদের আশ্রয় নিশ্চিত করা ছাড়াও একটি উপযুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন দিতে চেয়েছেন। আমার শৈশবটি ছিল খুব আদর্শমণ্ডিত, অনেক বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনেক আনন্দে বড় হয়েছি। তবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল গুরুত্বপূর্ণ এবং বেড়ে ওঠার সময় নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে থাকা আমার পড়াশোনার জন্য খুব কাজে লেগেছে।’

এলিনোর হাইস্কুল শেষ করে দর্শনে অনার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেন, মাইগ্র্যাশন আইনে গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা শেষ করে আইন বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রি করছেন।

একটি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করতে গিয়ে তিনি অনুভব করেন যে সমাজের সকল নাগরিকদের, তারা যে সামাজিক বা অর্থনৈতিক অবস্থান থেকেই আসুক না কেন, দেশের বিদ্যমান আইনব্যবস্থা থেকে সমান সুযোগ পাওয়া উচিত।

যদিও অনেকদিন বাংলাদেশে আসেননি এলিনোর। তবে এক সময় কয়েক বছর পরপরই বাংলাদেশে বেড়াতে আসতেন। এখানে তার নিকটাত্মীয়রা আছেন।

স্মৃতি হাতড়ে তিনি বলেন, ঢাকার রাস্তায় ঘুরতে, খাওয়া দাওয়া করতে এবং বড় বড় শপিং মলগুলোতে কেনাকাটা করতে যেতে আমার খুব ভালো লাগে। আমার গ্রাম বিরিশিরি এবং ধোবাউড়ার সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে এবং তাজা মাছ-তরিতরকারি স্বাদ নিতেও ভালো লাগে।

সূত্র: এসবিএস বাংলা।

সাননিউজ/এমএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

গাজীপুরে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

গাজীপুরের কালীগঞ্জে বজ্রপাতে এক কৃষকের মর্মান্তিক...

ছয় দফা দাবীতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

সিরাজগঞ্জে ছয় দফা দাবীতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শি...

বগুড়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

বগুড়ার নন্দীগ্রামে পারিবারিক বিবাদ নিরসনের সময় দ...

২ জুন অন্তর্বর্তী সরকারের বাজেট ঘোষণা

প্রতি অর্থবছরে জুন মাসের কোনো বৃহস্পতিবার বাজেট ঘো...

বরফঠান্ডা পানিতে গোসল করে গিনেস রেকর্ডস

প্রচণ্ড শীতে প্রায় মাইনাস ডিগ্রী পানিতে গোসল করার...

নারায়ণগঞ্জে ২১ শহীদ পরিবারকে জেলা প্রশাসনের আর্থিক অনুদান প্রদান

ছাত্র জনতার জুলাই গনঅভ্যুত্থানে শহীদ নারায়ণগঞ্জের...

বালুর ট্রাকে মিলল ১২৪ কেজি গাঁজা, গ্রেপ্তার তিন

গাজীপুর পূবাইলে ১২৪ কেজি গাঁজাসহ তিন জন মাদক কারবা...

মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর ঠাঁই হলো মিরপুর সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে

ফেনীর পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়া ‘মা...

বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব

বাংলাদেশের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে...

১৭ এপ্রিল: মুত্তিয়া মুরালিধরন এর জন্মদিন

মুত্তিয়া মুরালিধরনের (মুরালি হিসেবে প্রায়শই পরিচ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা