আব্দুর রহিম, সিঙ্গাপুর প্রতিনিধি:
রোববার থেকে সার্কিট ব্রেকার পদক্ষেপ করেছে সিঙ্গাপুর। প্রথমবার আইন অমান্যকারী অপরাধীদের জন্য ৩০০ সিঙ্গাপুর ডলার জরিমানা করা হবে বলে শনিবার পরিবেশ ও জলসম্পদ মন্ত্রী মাসাগোস জুলকিফলি জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন এখনও অনেক লোক রয়েছেন যারা এ পদক্ষেপকে গুরুত্বের সাথে নিচ্ছেননা। ইতিমধ্যে ৩ হাজারের বেশী লিখিত কঠোর সতর্কতা জারি করা হয়ছিল, পাশাপাশি আরও জরিমানা করা হয়েছে।
মন্ত্রী মাসাগোস বলেন “কঠোর শাস্তির সুস্পষ্ট প্রয়োজন, রোববার থেকে আমরা আর লিখিত সতর্কতা জারি করব না। আমাদের আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা যে কোন অপরাধীকে তাৎক্ষনিকভাবে তাদের বিবরণ জিজ্ঞাসা করবে। তিনি আরও যোগ করেন রোববার থেকে প্রথমবারের অপরাধীদের ৩০০ সিঙ্গাপুর ডলার জরিমানা করা হবে এবং পুনরাবৃত্তি অপরাধেীদের বিরুদ্ধে আদা্লদত উচ্চতর জরিমানা বা গুরুতর মামলা দায়ের করা হবে।”
পূর্বে, প্রথমবার অপরাধের জন্য লিখিত সতর্কতা জারি করা হয়েছিল, দ্বিতীয়বারের জন্য ৩০০ ডলার জরিমানা করা হয়েছিল এবং তৃতীয়বার বা তারপরে যারা এ অপরাধ করবে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদা্লতে প্রেরণ করা হবে।
মিঃ মাসাগোস বলেন, সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে "সুতরাং এটিই আমাদের শীর্ষস্থানীয় এবং সম্মিলিত দায়িত্ব," সিঙ্গাপুর ফুড এজেন্সি জানিয়েছে যে, খাদ্য ও পানীয়ের বিক্রয় এবং প্রস্তুতকরণে নিয়োজিত সমস্ত শ্রমিককে সোমবার থেকে মুখোশ বা অন্যান্য নিরাপত্তা পোশাক পরিধান করতে হবে।
জাতীয় পরিবেশ সংস্থা (এনইএ) বলেছে যে রবিবার থেকে, যারা মুখোশ ব্যবহার করবেনা তাদের এনইএ বা এনইএ- দ্বারা নিযুক্ত অপারেটরদের দ্বারা পরিচালিত ৪০ টি বাজারে সরিয়ে দেওয়া হবে। মিঃ মাসাগোস বলেন,আমরা দেশের জন্য সবচেয়ে সহজ কাজটি করতে পারি, সকলেই ঘরে থাকি সিঙ্গাপুরের জন্য (স্টে এট হোম,) ।
শনিবার পযন্ত (১১ এপ্রিল) প্রজাতন্ত্র কোভিড -১৯ সংক্রমণের ১৯১ টি নতুন কেস রিপোর্ট করেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের (এমওএইচ) প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে এখানে এখন ২,২৯৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। আজকের নতুন করে ৯৯ জন বাংলাদেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, এই নিয়ে সর্বমোট ৫৪৪ জন বাংলাদেশী আক্রান্ত সিঙ্গাপুরে,
সংক্রমনে আক্রান্ত হয়ে ৯০ বছর বয়সী সিঙ্গাপুরের এক ব্যক্তি মারা গেছেন, এবং এটি নিয়ে সর্বমোট ৮ জন মৃত্যুবরণ করেছে। তবে মোট ৫২৮ জন সংক্রমণ থেকে সম্পূর্ণরূপে সেরে উঠেছে এবং হাসপাতাল থেকে ছাড় পেয়েছে। আর ৯৪৩ জন এখনও হাসপাতালে রয়েছেন অবশ্য তাদের বেশিরভাগই স্থিতিশীল বা উন্নতির দিকে। আর ৩১ জন নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে গুরুতর অবস্থায় আছেন।