ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহন পৌর সভার মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ উঠেছে। তিনি সরকারিভাবে বরাদ্দ গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: নিরাপদ রেল যাত্রার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দ অনুষ্ঠানে ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) সংসদ সদস্য প্রার্থী নুরনবী চৌধুরীকে সমর্থন জানাতে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আসেন সরকারি গাড়ি নিয়ে।
এমদাদুল ইসলাম তুহিন ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।
এদিকে একইভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করেছে দৌলতখান উপজেলার চেয়ারম্যান মনজুর আলম খান। তিনি সরকারিভাবে বরাদ্দ উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি নিয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে এসে ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলী আজম মকুলের পক্ষে প্রতীক বরাদ্দের কাগজ সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন: ২ দিনব্যাপী নৌসচিব পর্যায়ের সভা শুরু
লালমোহন পৌর সভার মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের এ মুহূর্তে গাড়ি ব্যবহারের বিষয়টি তার জানা ছিল না। তাই তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন ও একই সাথে সামনের দিকে নির্বাচনী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন জানান।
অপরদিকে দৌলতখান উপজেলার চেয়ারম্যান মনজুর আলম খান আচরণবিধি লংঘনের বিষয়টি বুঝতে পেরে সুকৌশলে গণমাধ্যম কর্মীদের এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে ভোলা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার আরিফুজ্জামান জানান, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দর পরে প্রার্থীরা ও তার স্বপক্ষে সমর্থকরা প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে। তবে তা আচরণবিধি মেনে পরিচালনা করতে হবে।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে মালঞ্চ বাসে আগুন
প্রার্থীর সমর্থনে যারা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেবেন তাদের ক্ষেত্রে সরকারি স্থাপনা ও যানবাহন ব্যবহার করার সুযোগ নেই।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়ররা যদি নির্বাচনী কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে, এটি অবশ্যই নির্বাচনী বিধি লংঘন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা যেকোনো ব্যক্তি অভিযোগ করলে বিষয়টি ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটিতে পাঠানো হবে। তারা তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
রিটানিং অফিসারের পক্ষ থেকে নির্বাচনী এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। নির্বাচনী আইন মানার জন্য ইতিমধ্যে ভোলার-৪ টি আসনে ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় রয়েছে।
সান নিউজ/এনজে