জেলা প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে বেড়ে চলেছে শীতের দাপট। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এই এলাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তাপমাত্রার পারদ কমে আসায় হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন : ঢাকা-ময়মনসিংহ ট্রেন চলাচল শুরু
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়ার এ তথ্যটি জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
দেখা গেছে, ভোরে হালকা কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে সূর্য। আর রাত থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে বরফগলা শীত। গ্রামের জনপদে নিম্নআয়ের মানুষরা শীত নিবারণ করছে খড়কুটো জ্বালিয়ে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই সকাল সাড়ে ৭টা থেকে কাজে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় এ অঞ্চলে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে নিম্ন আয়ের বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের। গ্রামের নারীরা বলেন, কুয়াশা না থাকলেও খুব ঠান্ডা পড়ছে।
আরও পড়ুন : প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
চা শ্রমিক ও পাথর শ্রমিকরা জানান, কুয়াশা নেই কিন্তু কনকনে শীত। ভোরে প্রচণ্ড হিমশীতের মধ্যেই আমরা চা বাগানে পাতা তুলি, এসে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। কিন্তু জীবিকার তাগিদে কাজ করতে হচ্ছে। একই কথা জানান, নদীতে পাথর তুলতে যাওয়া শ্রমিকদের।
অন্যদিকে, শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগ ব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন : পাট বোঝাই ট্রাকে আগুন
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, গতদিনের থেকে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি পঞ্চগড়ের মৌসুমের সর্বনিম্ন। বিশেষ করে, এ অঞ্চলটি হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের নিকটস্থ হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সামনে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে বলে তিনি বলেন।
সান নিউজ/এএন/এমআর