নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: ‘উন্নয়নের গালভরা বুলি দিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে সরকার। বার বার জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে কয়রাবাসীর সঙ্গে।’
বিএনপির ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কয়রায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণকালে এসব কথা বলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
অনুষ্ঠানে উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী এবং ৫০টি পরিবারের মাঝে গৃহনির্মাণ ও মেরামতে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বিগত চারমাসে লাখো বাস্তুভিটাহীন নিরন্ন মানুষের পাশে রাষ্ট্র ও সরকার না দাঁড়ানোয় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আম্ফানে বিধ্বস্ত কয়রার ক্ষতিগ্রস্ত জনগণকে বাঁচাতে জরুরি মানবিক সাহায্যেরও আহ্বান জানান।
শনিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বেদকাশী বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর নেতৃত্বে নগর ও জেলা বিএনপির যৌথ এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা।
কয়রার জনগণের নিজস্ব প্রচেষ্টায় নির্মাণকৃত বেড়িবাঁধ গত জোয়ারের পানির চাপে ভেঙে বিলীন হয়ে যাওয়ায় বিপর্যয়ে পড়া মানুষকে জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা ও বাড়ি-ঘর নির্মাণে অর্থ, কর্মহীন মানুষকে পেশায় ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা এবং ঘূর্ণিঝড় ও জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে জরুরিভাবে বেড়িবাঁধ ও রাস্তা সংস্কারের দাবি জানান নেতারা। একই সঙ্গে এই অঞ্চলের জনগণে পাশে থাকতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান।
পরে উত্তর বেদকাশি ঝিলেখাটায় জলাবদ্ধ এলাকা ও ক্ষতিগ্রস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন নেতারা। এরপর পাইকগাছা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল হুদা মিন্টুর বাবা জয়নাল আবেদীনের কবর জিয়ারত করেন।
বিএনপি নেতারা বলেন, দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে থাকলেও জনগণের বন্ধু হিসেবে পাশে রয়েছে বিএনপি। করোনাকালে কর্মহীন ও দুস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, আর্থিক সহায়তা প্রদান, করোনা কল সেন্টার খোলা, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে কয়রা ও সাতক্ষীরায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছে। বিএনপি সর্বদা জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
অনুষ্ঠানে ছিলেন নগর বিএনপির বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দীপু, শাহিনুল ইসলাম পাখি, ইউসুফ হারুন মজনু, চৌধুরী হাসানুর রশীদ মিরাজ, শেখ আবু সাইদ, শেখ জামিরুল ইসলাম, মেজবাহুল আক্তার পিন্টু, শামীম আশরাফ, আরিফুর রহমান আরিফ, রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি, মাসুদ রানা, এস এম আলমগীর হোসেন এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, মনিরুজ্জামান মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, আবু হোসেন বাবু, শামসুল আলম পিন্টু, শহিদুল আলম, মুর্শিদুর রহমান লিটন, নাজমুস সাকিব পিন্টু, হাফেজ আবুল বাশার, ওয়াইজ উদ্দীন সান্টু, শাহনাজ পারভীন, জসিম উদ্দিন লাবু, মোল্লা কবির হোসেন, ওয়াহেদুজ্জামান নান্না, হেমায়েত হোসেন, মনিরুজ্জামান লেলিন, মনিরা পারভীন, মাসুম বিল্লাহ, হেলাল উদ্দীন, ইসমাইল হোসেন, ইমরান খান প্রমুখ। কয়রা উপজেলার নেতাদের মধ্যে ছিলেন অ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, এম এ হাসান, অ্যাড. আব্দুর রশিদ, মওলা বক্স, হারুনুর রশীদ ও আবু সাঈদ প্রমুখ।