নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যের অবস্থা ও তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনপত্রে কী লেখা আছে তা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার (৩১ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনলাইনে কেবিনেট বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা কথা বলেন তিনি।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে গত ২৫ মার্চ দণ্ড স্থগিত করে সাময়িক মুক্তি দেওয়ার সময় আইন মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ বিবেচনায় নিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাকে ছয়মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর এই মেয়াদ শেষ হবে। এর আগেই পরিবারের পক্ষ থেকে ভাই শামীম এস্কান্দার গত মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া জামিনে নেই। কোনো আদালত থেকে জামিন দেওয়া হয়নি। গত মার্চ মাসে তার পরিবার থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দরখাস্ত করা হয়েছিল যে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য কোনো নির্বাহী আদেশে তাকে যেন জেলখানা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মানবিক দিক চিন্তা করে আমাদের দিক-নির্দেশনা দিয়েছিলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১১ ধারায় তার (খালেদা) দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তাকে ছয়মাসের জন্য মুক্তি দিতে। গত ২৫ মার্চ সেই আদেশে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, তিনি একটি দরখাস্ত পেয়েছেন৷ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ছয় মাস শেষ হয়ে যাবে। তারা সেটার এক্সটেনশন চেয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেই দরখাস্তের কপি আমার কাছে পাঠিয়েছেন। তবে সেটা এখনও আমার কাছে এসে পৌঁছায়নি। পৌঁছালে আমরা বিবেচনা করবো। দরখাস্ততে কী লেখা হয়েছে, সেটি এখনো আমি জানি না। সেক্ষেত্রে আমি কী বিবেচনা করবো দরখাস্ত না পড়ে কথা বলাটা আমার ঠিক হবে না।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দুই বছরের বেশি সময় কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ছয় মাসের জন্য খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে গত ২৫ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেয়।
সান নিউজ/ আরএইচ/ এআর