নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অনুপ্রবেশকারীরাই দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। তিনি বলেন, ‘আমি একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। অনুপ্রবেশকারীরাই দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে। দুঃসময়ের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরা কখনো দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে না।’
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের সংসদ ভবন এলাকাস্থ তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সম্প্রতিকালে দেখা গেছে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের জন্য অনুপ্রেবেশকারীরাই দায়ী। দুঃসময় এলে দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতা-কর্মীরাই দলকে ধরে রাখে। সুসময়ের বসন্তের কোকিলরা দুঃসময়ে থাকে না। তাই, আমি সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলব, দলে কোন স্তরে কোন ভাবেই অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকেই সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্ব ও নিরলস পর্যবেক্ষণের কারণে সরকার শুরু থেকেই করোনা ভাইরাস সৃষ্ট পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, 'এ ভাইরাসের অতীত ইতিহাস না থাকায় চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ একটি নতুন অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখা দিয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে অল্প সময়ে জনসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা প্রদানে আমাদের এখন সক্ষমতা তৈরি হয়েছে, যা দিন দিন বাড়ছে।'
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, 'জনগণের চাহিদা অনুযায়ী সুযোগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতে ও চিকিৎসা সেবার সুযোগ দিন দিন বাড়ছে। দেশে এখন আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা হচ্ছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমাদের বিদেশমুখীতা কমিয়ে আনতে হবে। বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোকে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে রূপান্তরিত করতে হবে। '
করোনার পরীক্ষা বাড়ানো ও দ্রুত রিপোর্ট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'করোনা টেস্ট আরো বাড়াতে হবে। রিপোর্ট দেওয়ার বিষয়টি যাতে বিলম্ব না না ঘটে, টেস্টের পর পরই যাতে রিপোর্ট পাওয়া যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।'
ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময়ে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খোরশেদ আলমের নিকট আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়।