নিজস্ব প্রতিবেদক: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনে ভাটা পড়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে দলটি ‘নতুন খেলা’ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
বুধবার (৩০ আগস্ট) সচিবালয়ে জাতির পিতার ৪৮ তম শাহাদতবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এই কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুলরা আন্দোলন করে গোলাপবাগের গরুর হাটে হোঁচট খেয়েছেন। আন্দোলন এখন আর জমে না। বাজারে ভাটা পড়েছে। এমতাবস্থায় ড. ইউনূসকে নিয়ে আবার নতুন খেলা শুরু করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: খালেদার বিরুদ্ধে নাইকো মামলা চলবে
বিএনপি ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছে। আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে হটাতে পারলেন না। কীভাবে হটাতে হবে? ওয়ান-ইলেভেনের মতো ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটি নতুন সরকার হবে- এমন কথাবার্তায় বাজার সরগরম রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি সেই দুঃস্বপ্ন দেখছে কি না জানি না। ওয়ান-ইলেভেনে ইউনূস কম চেষ্টা করেননি। তখনো তার খায়েশ ছিল, সেই খায়েশ পূর্ণ হয়নি।
বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বের অনেক মোড়লের অনেক স্বপ্ন রয়েছে। যারা ইউনূসের মামলা স্থগিত করতে বলেন, মামলা কীভাবে স্থগিত হবে? মামলার কাগজপত্র, দলিল-দস্তাবেজ ঠিক আছে কি না, দেখুন।
আরও পড়ুন: আজ ঢাকাসহ দেশজুড়ে বিএনপির মিছিল
তিনি বলেন, আপনারা হাওয়ায় একটি বিবৃতি ছেড়ে দিলেন। আবার এরসঙ্গে একটু দ্বিধা লাগে, যখন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করা হয়। তারা বাংলাদেশের নির্বাচনকে বানচাল করতে চান।
বাংলাদেশে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ভন্ডুল করতে নতুন প্ল্যাটফর্ম করতে চান। পরিষ্কার বলতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে এই অশুভ খেলা আমরা খেলতে দেব না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা বিবেককে জিজ্ঞাসা করুন, এই ড. ইউনূস আমাদের শহীদ মিনারে কোনোদিন গেছেন? জাতীয় স্মৃতিসৌধে কোনোদিন গেছেন? আমাদের বন্যা, জলোচ্ছ্বাসে তিনি কখনো এসেছেন? তিনি কী কখনো সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন?
আরও পড়ুন: আর কোনো ছাড় দেওয়া হবে না
তিনি আরও বলেন, ভয়াবহ করোনার সময়ও তিনি কোনো কথা বলেননি। আমাদের দেশে রক্তের বন্যা বইয়ে যায়, ড. ইউনূস কথা বলেননি। আমি চাই, যেই মানুষ আমার সুখে-দুঃখে নেই, সেই মানুষটির জন্য আমাদের এত মায়াকান্না কেন? তিনি আমাদের সুখ-দুঃখ ও কষ্টের সময় নেই। তার জন্য আমাদের এত দরদ কেন?
সেতুমন্ত্রী বলেন, নোবেল পেয়ে কোনো অপরাধ করেও অব্যাহতি পেয়ে যাবেন, এটা কোনো দেশের আইনে আছে? শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করেন যিনি, তার মতো নোবেল বিজয়ী শ্রেষ্ঠ সন্তানের আমাদের প্রয়োজন কী? তিনি শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র করছে, সতর্ক থাকা উচিত
তিনি বলেন, নোবেল বিজয়ীরা যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেই বিবৃতির জায়গা (বিজ্ঞাপন) কিনতে দুই মিলিয়ন ডলার দরকার হয়। আমাদের দেশের পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন দেবেন, সেটির স্পেসের একটি হিসাব আছে।
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, মার্কিন পত্রিকায় দুই মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে যে বিবৃতি তিনি দিয়েছেন, সেই টাকা কোথায় পেয়েছেন? এই অর্থ কোথা থেকে এল?
সান নিউজ/এইচএন