নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘কোনো পথ নেই, উত্তরে পর্বতমালা আর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, কোন দিকে যাওয়ার আর পথ নেই। আর কোনো সময় নেই। মানে এখনি পদত্যাগ করো। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাও, সংসদ বিলুপ্ত করো, নতুন নির্বাচন কমিশন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করো।’
আরও পড়ুন : ভিসানীতি কার ওপর আসে সেটাই দেখব
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর দয়াগঞ্জে সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সরকার আবার ফন্দি বের করেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এরা নাকি পেনশন ভাতা দেবে। এরা টাকা চুরি করার আরেকটা নতুন ফন্দি করছে। সেই টাকা চুরি করে ভোট করবে এরা।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক, ভোটের, কথা বলার, বাঁচার অধিকার দাও। তেল, ডালসহ নিত্যপণ্যের দাম কমাও। এটাই আমাদের দাবি।
তিনি বলেন, আজ সারাদেশকে এ আওয়ামী লীগ কারাগারে পরিণত করেছে। কেন আটক করে? বলেন তো, ভয়ে। ভয়ে মুখ শুকিয়ে গিয়েছে। টেলিভিশনে দেখবেন, এখন মুখে হাসি নাই। চকচকা কাপড় কম পড়েন। যারা-যারা বিদেশে বাড়ি-ঘর তৈরি করেছিল সেটা কীভাবে রক্ষা করবে সেই চিন্তায় আছে।
আরও পড়ুন :খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে লিফলেট বিতরণ
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আবার ফন্দি বের করেছে, এরা নাকি পেনশন ভাতা দেবে। এরা টাকা চুরি করার আরেকটা নতুন ফন্দি করছে। সেই টাকা চুরি করে ভোট করবে এরা।
তিনি বলেন, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার দাবি করে-সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? এটা বৈধ সংবিধান না। বৈধ সংবিধান তো অনেক আগে আওয়ামী লীগ নিজেরাই কেটে-ছিঁড়ে শেষ করে দিয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে নতুন ভিসা নীতি করেছে। তারা বলেছে, যারা-যারা অবৈধভাবে সম্পদ গড়েছে, যারা নির্বাচনে ভোট দিতে বাধা দেবে তাদেরকে ভিসা দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা, কথায়-কথায় রাতের অন্ধকারে বিনা কারণে ছেলেদের গ্রেফতার করেন। আপনাদের ৯ জন বড় অফিসার এখন আমেরিকা যেতে পারেন না। সেখানে যে সম্পদ তৈরি করেছিল সেইগুলোর কি হবে সেই চিন্তায় ঘুম হয় না। আমরা পরিষ্কার করে বলি, পুলিশের সাধারণ কর্মকর্তা তারা কখনো চুরির সঙ্গে জড়িত না। চুরি করে বড়রা।
আরও পড়ুন :নতুন প্রজন্ম স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, সরকারের অবস্থা এখন আরও খারাপ। আমেরিকার মানবাধিকার সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের সরকারকে বলতে শুরু করেছে- বাংলাদেশের ওপর একটা শুনানি হোক। তারা বলছে- বাংলাদেশে বিরোধী দলগুলোর ওপর অত্যাচার-নির্যাতন হচ্ছে, নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাই সরকারের ওপর আবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হোক।
সান নিউজ/জেএইচ