নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির এক দফার বেলা শেষ। দম ফুরিয়ে এসেছে। চোখে মুখে অন্ধকার দেখছে। শুকিয়ে গেছে চোখ-মুখ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন : আরও ১৩ প্রাণহানি, হাসপাতালে ২৭৪২
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকে রাজনীতিটা কেমন হয়ে গেছে। আদর্শ কোথায়? গণতন্ত্র কেথায়? মূল্যবোধ কোথায়? মানবাধিকার কোথায়? মনে মনে ভাবি আর অবাক হই। গতকাল সিএনএনের একটা রিপোর্ট দেখছিলাম। সেখানে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অভিযোগ যত বাড়ছে, ততই তার পক্ষে জনমত বাড়ছে।
আরও পড়ুন : মাকে দেখেছি হতাশ হতেন না
তিনি বলেন, যারা মানবাধিকারের প্রবক্তা, যারা আমাদের গণতন্ত্রের শিক্ষা দেয়, ছবক দেয়; আমাদের গণতন্ত্র নিয়ে যারা সমালোচনা করে- সেই দেশের এই অবস্থা দেখে ব্যক্তিগতভাবে অসহায়বোধ করলাম। এটা দেখে আমি অবাকই হয়েছি। বিশ্ব রাজনীতিতে আজ যারা গণতন্ত্র আর মানবাধিকারের মাতবর তাদের নিজেদের দেশে গণতন্ত্র আর মানবাধিকার কেমন আছে! তাদের দেশে মানবাধিকারের পতাকা ভূলুণ্ঠিত কেন? যারা আমাকে ছবক দেয় তারা ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারে না কেন? নাইজারের চলমান সংকটের কোনো সমাধান নেই, আমেরিকা আর ইউএন (জাতিসংঘ) কি পারছে সুদানের দুই প্রেসিডেন্টের কলহ বন্ধ করতে? দুষ্টু ছেলে ইসরায়েলকে তো কেউ কিছু বলেন না!
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ মার্কিন কিছু সিনেটর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আর জাতিসংঘের মহাসচিবকে চিঠি লিখেছেন যেন বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়। কিন্তু তাদের দেশের এই ধরনের ছবি আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়।
আরও পড়ুন : দুই দিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
তিনি বলেন, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের একটা দলের পাঁচজন মানুষকে কানাডা আশ্রয় দেয়নি। কারণ তাদের দল সন্ত্রাসী দল। তাদের এই দল বৈধভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করতে চায়। মির্জা ফখরুল কি আদালতের এ রায় দেখেননি? তিনি যখন লাফালাফি করেন, বড় বড় কথা বলেন, বেপরোয়া হয়ে মিথ্যাচার করেন, তখন তার দল সম্পর্কে পরপর পাঁচবার কানাডার আদালতের যে মন্তব্য- এই মন্তব্য কি তিনি উপলব্ধি করেন না? যদি করতেন তাহলে কি এমন হতো?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ বছর পৃথিবীর ২২ দেশে নির্বাচন হবে। বাংলাদেশ কী এমন অপরাধী দেশ যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা আর জাতিসংঘ ঘুরে ঘুরে সবাই শুধু বাংলাদেশে আসে। আমরা কি বিপদে আছি? ঘুরে ফিরে সবাই শুধু এখানে আসে। নাইজারের খবরই নেই। সোমালিয়া, সুদান বা কঙ্গোর খবরই নেই। এসব নিয়ে কার কী মাথাব্যথা।
আরও পড়ুন : ৬৮ পর্যবেক্ষক সংস্থাকে অনুমোদন
ওবায়দুল কাদের বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এখন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট হচ্ছে। নতুন প্রস্তাবনা এখনো আসেনি। কিন্তু এই সরকার জনগণের সরকার। বিবেকের সরকার। আমরা একটা কাজ করবো। এরপর এই সিদ্ধান্তটা সঠিক না বেঠিক সেটি আমি জনগণের কাছে শুনবো। সেখানে যদি কোনো কারেকশনের প্রয়োজন হয় সেটি আমি করে দেবো। এটাই জনগণের সরকার, এটাই শেখ হাসিনার সরকার। এ নিয়ে আবার তুচ্ছতাচ্ছিল্য শুরু করেছে! সাইবার অপরাধীদেরও মুক্ত করতে চান? ঢালাওভাবে এই আইনের অপপ্রয়োগ যেন না হয় সেজন্য নতুন করে রিকাস্ট হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নেই। কোনো বন্ধু আমাদের ক্ষমতায় বসাবে না, ক্ষমতায় বসাবে দেশের জনগণ। জনগণের সঙ্গে আমরা আছি।
সান নিউজ/এমআর