নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেয়েছেন। তিনি সুস্থ শরীরে হাসিমুখে ডিবিপ্রধানের সঙ্গে বিভিন্ন পদের খাবার দিয়ে ভোজন সম্পন্ন করেন।
আরও পড়ুন: আমানকে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি
সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র ও ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদের একসঙ্গে বসে খাওয়ার একটি ছবি এসেছে। সেখানে দেখা যায়, শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে তারা একসঙ্গে দুপুরের খাবার খান।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর ধোলাইখালে বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে সংঘর্ষের সময় সেফ করে পুলিশ। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। পরে তিনি ডিবিপ্রধানের সঙ্গে বসে একসঙ্গে দুপুরের খাবার খান।
ছবিতে দেখা গেছে খাবারের মেনুতে ছিল খাসি, মুরগির মাংস, একাধিক মাছের তরকারি, রোস্ট ও সবজি। এছাড়া আম, মালটা, আঙ্গুর ও ড্রাগন ফলও ছিল খাবারের টেবিলে।
আরও পড়ুন: উত্তরায় যান চলাচল স্বাভাবিক
ডিবির সদস্যরা খাবার শেষে ডিবির একটি সাদা গাড়িতে করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে তার বাসায় পৌঁছে দেন।
সাংবাদিকদের বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে ডিবির গেটে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ডিবি কার্যালয় থেকে ডিবির গাড়িতে করে তার বাসায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
হারুন অর রশীদ বলেন, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে সংঘর্ষের সময় সেভ করা হয়। ওই সময়ও বিএনপির কর্মীরা ঢিল ছুঁড়তে থাকেন। তাকে সেভ করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। এরপর ডিবির গাড়িতে করে গয়েশ্বরের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ধোলাইখালে সংঘর্ষ, আহত ৬
প্রসঙ্গত, রাজধানীর নয়াবাজার (বাবুবাজার ব্রিজের প্রবেশ মুখ) মোড়ে বিএনপি অবস্থান নেওয়ার কথা থাকলেও এর বদলে ধোলাইখাল মোড়ে অবস্থান নেয় দলটি। বিএনপি নেতাকর্মীরা বেলা ১১ টায় সেখানে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। জবাবে ইট-পাটকেল ছোড়েন অবস্থানকারীরা।
সেখান থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে সেফ করে পুলিশ।
সান নিউজ/এইচএন