নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির ৩ সংগঠন- যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে আজ ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: নুর ও রাশেদের বিরুদ্ধে মামলা
ঢাকা, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ সমাবেশে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের নির্ধারিত স্থানে মঞ্চ তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে।
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে বলে জানা গেছে।
তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ মানে সংবিধান লঙ্ঘন
গতকাল শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন।
‘তরুণ প্রজন্ম দেব ভোট, ভোটের জন্য যুদ্ধ হোক’ স্লোগানে আয়োজিত এ সমাবেশ সফল করতে শুক্রবার রাজধানীতে লিফলেট বিতরণ করেছে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। তারা সাধারণ মানুষকেও তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবং নতুন ভোটার ও তরুণদের কাছে টানতে জুনের প্রথম দিকে বিএনপি ‘তারুণ্য সমাবেশে’র ঘোষণা দেয়।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ
দলটির অঙ্গ সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সমন্বয়ে দলটির নীতি নির্ধারণী ফোরামে এ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়।
ঘোষণা অনুযায়ী, চট্টগ্রাম (১৪ জুন), বগুড়া (১৯ জুন), বরিশাল (২৪ জুন), সিলেট (৯ জুলাই) ও খুলনায় (১৭ জুলাই) তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার ঢাকায় সর্বশেষ সমাবেশ করছে। সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে
গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শনে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী জানিয়েছেন, সমাবেশের প্রস্তুতি অনেক আগেই শেষ হয়েছে।
ঢাকা, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগের সমন্বয়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দেশের যুব সমাজের যারা অধিকার বঞ্চিত, চাকরির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার, মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে তাদের আমরা ঐক্যবদ্ধ করছি।
এ সমাবেশে নতুন জাগরণ সৃষ্টি হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারুণ্যের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হবে। তরুণদের নিয়ে রাজপথে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে রুখে দেবো।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের ৯ নির্দেশনা
এছাড়া ৪ কোটি ৭০ লাখ তরুণ গত ১৪ বছরে ভোট দিতে পারেনি বলে দাবি করে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরও বলেন, তারা অধিকার বঞ্চিত। গত ৫ টি বিভাগীয় ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ তারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছে।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো বাধার আশঙ্কা রয়েছে কি না-এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিলানী বলেন, বাধা দেওয়া তো এ সরকারের নিত্য কাজ। সেটা মাথায় রেখেই আমার কাজ করে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: সোনার দামে নতুন রেকর্ড
এ দিন সমাবেশস্থল পরিদর্শনে গিয়ে যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেন, ঢাকা শহরে তরুণদের জনস্রোতে সব ষড়যন্ত্র ভেসে যাবে। আমাদের এ আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো।
তিনি আরও বলেন, তরুণদের যে উদ্দ্যোম রয়েছে তার সামনে কোন ষড়যন্ত্র করে আমাদের সমাবেশ বানচাল করা যাবে না।
সান নিউজ/এনজে