নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফরিদপুর: জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জীবনকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। শনিবার (২২ আগস্ট) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্যাডে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারাদেশ দেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য।
ফরিদপুরের বহুল আলোচিত দুই ভাই বরকত-রুবেলের দুই হাজার কোটি টাকা অর্থপাচারের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ঢাকায় সিআইডির হেফাজতে তিনদিনের রিমান্ডে আছেন নিশান মাহমুদ শামীম। অন্যদিকে হামলা, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে পলাতক সাইফুল ইসলাম জীবন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের নীতি আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীম ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম জীবনকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো।’
গত ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহার শহরের গোয়ালচামট মোল্লা বাড়ি সড়কের বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সুবল সাহা কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। গত ৭ জুন পুলিশের বিশেষ অভিযানে ওই মামলার আসামি হিসেবে শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করে।
পরে গত ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় দুই হাজার কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ এনে বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ। ওই মামলায় গত বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাতে ঢাকার উত্তরা এলাকার ১২ নম্বর সেক্টর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমকে।
ফরিদপুর পুলিশ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বাড়িতে হামলা মামলার আসামি হিসেবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পলাতক সাইফুল ইসলাম জীবনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
অর্থপাচার মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মেট্রোপলিটন পশ্চিম সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস বলেন, রুবেল ও বরকত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ‘যাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন’ তাদের সকলের নাম উল্লেখ করেছেন। ওই জবানবন্দির আলোকে মানিলন্ডারিং মামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’
মামলাটিতে এ পর্যন্ত বরকত ও রুবেল ছাড়াও আরও ১৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হাসান খন্দকার লেভী, জেলা শ্রমিকলীগের কোষাধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন ও শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান।
সান নিউজ/ এআর