নোয়াখালী প্রতিনিধি : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকলে, নিরপেক্ষ সরকার থাকলে, নির্দলীয় সরকার থাকলে আওয়ামী লীগের ভাত নেই।
আরও পড়ুন : বিএনপির অপচেষ্টা প্রতিহত করা হবে
শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে মেহনতী মানুষের পদযাত্রায় জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা বলে নির্বাচন আমাদের অধীনে হবে। আমরাই ভোট কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করব। আমরাই ভোট দেওয়াবো, আমাদের মত করে সকলকে ভোট দিতে হবে। নইলে চলে যেতে হবে। এমনকি আমাদের ভোটারদের এখনো বলে ভোট কাকে দিবা। যদি বিএনপিকে ভোট দিতে চাও তাহলে তোমার ভোট হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন : পশ্চিমা ট্যাংক ধ্বংসের হুমকি
শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে ফখরুল বলেন, আমাদের বলে তাদের অধীনে নাকি ভোট দিতে হবে। ২০২১ সালে শেখ হাসিনা আমাদের ডেকে বলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে সবাই ভোট করতে পারবেন। সবাইকে বলেন ভোট করতে আমি কোন বাধা দেবনা। আমরা ভাবলাম বোধ হয় শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। কি করা যাবে বলেন। ভুতের মুখের রাম রাম। আগের রাতে ভোট হয়ে গেল। এখন আমার বলছে আমরা সুন্দর ভোট করব। আমাদের অধীনেই ভোট হবে। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশান হবে। আহারে কি আবদার। শিয়ালের কাছে বার বার কুমিরের বাচ্চা দেওয়া যাবেনা। বার বারই খেয়ে ফেলবে। আমরা এবার আর খেতে দিবোনা।
তিনি আরও বলেন, এবার মানুষ জেগে উঠেছে। সুবর্ণচরে একজনকে শুধু ধানের শীষে ভোট দেওয়ার অপরাধে অকথ্য ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এভাবে তারা অসংখ্য মা-বোনকে বেইজ্জত করেছে। আজকে শ্রমিক ভাইয়েরা বাজারে যেতে পারে না। বাজারে গেলে চাল কিনতে পারেনা, ডাল কিনতে পারেনা, মাংস কিনতে পারেনা, সবজি কিনতে পারেনা।
আরও পড়ুন : সংবিধান না মানলে নাগরিক না
দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। আমাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। এটা একটা লুটের রাজত্বে পরিণত করেছে। ব্যাংক গুলো সব লুট করতে করতে খালি করে দিয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
আওয়ামী লীগকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ফখরুল বলেন, আর কোনো সময় নেই, তাদের সময় শেষ। আমি পরিষ্কার ভাবে বলেছি। আবারো বলছি, ভালো ছেলের মত সুবোধ বালক-বালিকার মত পদত্যাগ করেন, সংসদ ভেঙ্গে দেন। যদি ভালোই ভালোই শুনে পদত্যাগ করেন তাহলেতো ভালো। তা না হলে ফয়সালা হবে রাজপথে।
আরও পড়ুন : ইউক্রেনে পৌঁছেছে মার্কিন বোমা
পদযাত্রায় আরও বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি,বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম প্রমূখ।
সান নিউজ/এমআর