নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভোলা: দৌলতখান উপজেলা ছাত্রদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পদবঞ্চিতরা।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) বিকেলে ভোলা শহরের কালিনাথ রায়েরবাজার ছাত্রদলের কার্যালয়ের পাশে একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ছাত্রদলের নেতা মো. আব্বাস উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘গত মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) ২১ সদস্যের ওই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রদল। ছাত্রদলের নীতিমালা ভঙ্গ করে নেশাগ্রস্ত, বিবাহিত ও সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিমের কয়েকজন আত্মীয়কে নিয়ে কমিটিটি গঠিত হয়েছে। এ কমিটিতে কোনো যোগ্য ও ত্যাগী কর্মীদের রাখা হয়নি।
এমনকি সরকারবিরোধী আন্দোলনে যারা রাজপথে সক্রিয় থেকে বিভিন্ন হামলা, মামলা, জেল ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তারাও বাদ পড়েছেন। যা দেখে আমরা দৌলতখান উপজেলা ছাত্রদলের কর্মীরা চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছি।’
‘নতুন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মির্জা মনিরুল ইসলাম নেশাগ্রস্ত। ১নং যুগ্ম আহবায়ক জাফরউল্লাহর ছাত্রদলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, তিনি অন্য দলের সঙ্গে জড়িত। ২নং যুগ্ম আহবায়ক মো. রাশেদ মোবাইল সার্ভিস হোল্ডার।
উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কালা জহির আত্মীয়করণ ও টাকার বিনিময়ে এ কমিটি জমা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।
বিতর্কিত এ কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগও দাবি করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা নবগঠিত আহবায়ক কমিটির তালিকা ছিঁড়ে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে কমিটির ২১ সদস্যকে দৌলতখানে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের নেতা মো. নাহিদুল ইসলাম, মো. মামুন অর রশিদ, মো. সোহান, মো. সনজিব মৃধা, মো. মিঠু, মো. সজিবসহ শতাধিক নেতাকর্মী।
ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ আব্রাহিম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘গত নির্বাচনে ছাত্রদলের যারা দলের জন্য কাজ করেছেন, তারাই নতুন কমিটিতে এসেছেন। কেউ নিজের স্বার্থে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দিয়ে এসব কাজ করাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপি করি। আমার আত্মীয়রা তো বিএনপি করবেনই। তারা যোগ্যতা দিয়ে কোনো কমিটিতে আসতেই পারেন।’
সান নিউজ/ এআর