নিজস্ব প্রতিনিধি: ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন করার অভিযোগে দুদকের দায়ের করা পাঁচ মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।
আরও পড়ুন: অবাস্তব দাবি নিয়ে সঙ্গে সংলাপ নয়
রোববার (৯ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এই আদেশ দেন।
গত ৬ মার্চ অর্থ আত্মসাতের দুদকের মামলায় ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা জমা দিলে তাকে পাঁচ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে মর্মে আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায়। এরপর গত ১৪ মার্চ জমির উদ্দিন সরকার আদালতের নির্দেশে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে উক্ত টাকা জমা দেন
আরও পড়ুন: কার্যালয় ছাড়তে নুরকে নোটিশ
এর আগে, ২০১০ সালে দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপ-সহকারী পরিচালক এস এম খবির উদ্দিনের দায়ের করা মামলায় জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাব কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তুলেন।
এরপর গত বছরের ২৫ আগস্ট জমির উদ্দিন সরকারের পাঁচটি মামলার কার্যক্রম বাতিল করে পূর্ণাঙ্গ রায় দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ। তবে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য অত্যন্ত লজ্জাকর
পরে এ পাঁচ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ অবস্থায় পাঁচ মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জমির উদ্দিন সরকার। শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ১৯ মে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ দ্বিধাবিভক্ত রায় দেন।
পরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি গঠিত একক বেঞ্চ মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে এ রায় দেন আদালত।
সান নিউজ/আর