নিজস্ব প্রতিবেদক: চিকিৎসকদের পরামর্শে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে দলের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।
আরও পড়ুন: বিএনপির পদযাত্রা আজ
সোমবার (১২ জুন) দিনগত রাত সোয়া ১টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা হন খালেদা জিয়া। তিনি রাত ১টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে পৌঁছান। চিকিৎসদের পরামর্শে পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিন রাতে হঠাৎ অসুস্থতা বোধ করলে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন বেগম জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ড. এফ এম সিদ্দিকী ও ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এরপরই তাকে হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মেডিকেল বোর্ড।
আরও পড়ুন: বরিশালে প্রার্থীর ওপর হামলাকারী আটক
৭৬ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া তিন বছরের অধিক সময় ধরে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন তিনি।
বেগম খালেদা জিয়া এর আগে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে টানা ৮১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত বছর ১ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরেন। এর পাঁচ মাস পর ওই বছরের ১০ জুন মধ্যরাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছিল।
২০২১ সালের এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হলে সে দফায় একই হাসপাতালে ৫৪ দিন চিকিৎসা নেন বেগম জিয়া। ওই বছরের ১৩ নভেম্বর আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হলে তার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে জোট কার্যকর নেই!
প্রসঙ্গত ‘বিদেশে যাওয়া যাবেনা এবং বাড়িতে চিকিৎসা নিতে হবে’- এই দুই শর্তে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তিতে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর’-এর ধারা-৪০১ (১)-এর ক্ষমতাবলে সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমবারের মতো শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি পান । ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। এরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দফায় দফায় বাড়ে মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরে গেছে
হাইকোর্ট একই বছরের ৩০ অক্টোবর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২৯ অক্টোবর খালেদার সাত বছরের সাজা হয়।
সান নিউজ/এইচএন