নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আবার শুরু হতে যাচ্ছে সরকারের সেই পুরোনো খেলা। ১/১১ সরকারের সময় যে মামলাগুলো হয়েছিল, সে মামলাগুলো তুলে নিয়ে গেছে, খারিজ করেছে। আর বিরোধীদলের মামলাগুলো রেখে দিয়েছে। এখন সেই মামলায় আমাদের আবার সাজা দেওয়া হচ্ছে। এটার একটা সীমা থাকে।
আরও পড়ুন : বাড়ছে তীব্র খাদ্য সংকট!
বুধবার (৩১ মে) ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের দ্বিবার্ষিক কর্ম অধিবেশনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে এখন স্বাধীন সাংবাদিকতা বলতে কিছু নেই। এতদিন যে একটা কথা বলছি। কথা কাজে লাগেনি তা না, কথা কাজে লেগেছে। অবশেষে একটা জায়গায় আসা গেছে।
আরও পড়ুন : হাতিয়াতে ৩০ জেলে আটক
তিনি বলেন, আগে যারা ভুক্তভোগী ছিলাম তারাই শুধু চিৎকার করতাম। সাংবাদিকরা অনেক ভুক্তভোগী, তাদের কিছু লেখা ছাপা হতো, কিছু লেখা ছাপা হতো না। তখনই আমাদের কষ্ট দেয় পীড়া দেয় যখন দেখি আপনাদের (সাংবাদিক) কিছু সহযোগী সহকর্মীরা অবলীলায় সাংবাদিকদের দমনকে সমর্থন করে। এটা সত্য কথা, প্রতিবাদ না করলে, রুখে না দাঁড়ালে, সোচ্চার না হলে কোনো দাবি আদায় করা যায় না।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যদি ক্ষমতায় থাকে, তবে দেশের মানুষ মত প্রকাশ করতে পারবে না। তারা ক্ষমতায় থাকলে জনগণ ভোটাধিকার ফিরে পাবে না, ভোট দিতে পারবে না। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এটা শুধু আমার কথা নয়, এটা সবার কথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সরকারের অধীনে কখনই গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
আরও পড়ুন : কসোভোকে শাস্তি দিলো যুক্তরাষ্ট্র
ভিসানীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের অনেকেই বলছেন, ভিসানীতিতে তো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলেনি। কী অদ্ভুত যুক্তি! তাদের কি আনন্দ হচ্ছে, তারা বলছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে কথা বলা হয়নি। অথচ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া আমাদের সংবিধানই গ্রহণযোগ্য হবে না। তাদের বিরুদ্ধে লড়তে হবে, পরাজিত করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে নাকি বেশি রেমিট্যান্স আসছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে যারা বাস করেন, তারা কখনই দেশে এসে লগ্নি করেন না। বিনিয়োগ করেন না। দরকার হলে তারা এখানকার বাড়িঘর বিক্রি করে দিয়ে যান। যারা চুরি করেছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন সেগুলো রেমিট্যান্স আকারে দেশে নিয়ে আসছেন তারা। আবার তাদের আড়াই পার্সেন্ট প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন : আজ ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর
তিনি বলেন, ভয় করেও লাভ নেই। অস্তিত্বের কারণে, বাঁচার কারণে এখন আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। ভয়কে জয় করে তাদের পরাজিত করতে হবে। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। যেখানে সাংবাদিক লিখতে পারবে, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন থাকবে না, মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের আটক করা হবে না।
ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াত নেতা আব্দুল হালিম, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, সাংবাদিক নেতা হাই শিকদার, শাহ নেওয়াজ আলী, এমএ আজিজ, কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, এমএ আব্দুলাহ, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
সান নিউজ/এনজে