নিজস্ব প্রতিবেদক : নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন : কিউইএফ’এ যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২৩ মে) আদালতে মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলম জবানবন্দি দেওয়া শুরু করেন। সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।
এর আগে এদিন চার্জ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার পক্ষে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে, যা আজ শুনানির জন্য রয়েছে জানিয়ে সাক্ষ্য পেছানোর আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার। এদিন তিনি খালেদা জিয়ার পক্ষে হাজিরা দেন। কিন্তু আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করার আদেশ দেন।
মামলার বাদী মাহবুবুল আলম সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। সাক্ষ্য চলাকালে আবারও খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তা পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২০ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতি নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন : জাহাঙ্গীরকে ফের দুদকে তলব
অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম । এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, একেএম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান তিন জন মারা গেছেন। তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : মির্জা ফখরুল করোনায় আক্রান্ত
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ক্ষমতায় থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডার কোম্পানিটিকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ২০০৮ সালের ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (বর্তমানে উপ-পরিচালক) এস এম সাহিদুর রহমান তদন্ত শেষে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সান নিউজ/জেএইচ