নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আলোচনা বা সংলাপের কথা বলে ক্ষমতাসীনরা আবারও নতুন করে চক্রান্ত করছে।
আরও পড়ুন: আরাভ খানের ১০ বছর কারাদণ্ড
মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করতে মিথ্যা বলছে সরকারদলীয় ব্যক্তিরা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কথা কেউই বিশ্বাস করে না।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, এবার আর ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি। ২০১৮ সালে সরকারকে বিশ্বাস করে কি হয়েছে জনগণ তা দেখেছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও মাঠ খালি করার আগের খেলায় মেতে উঠেছে সরকার মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, মাঠ খালি করে দিয়ে ২০১৪-১৮ সালে যেভাবে ফলাফল নিজেদের করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ, ঠিক একইভাবে এবারও বিরোধী দলকে মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে কাজ শুরু করে দিয়েছে সরকার। আগে অপেক্ষাকৃত দেরি করে হলেও এবার অনেক আগে থেকে তা শুরু করেছে। এবার আর সরকার মাঠ খালি করতে পারবে না।
দিনে দিনে বিএনপির আন্দোলন বেগবান হবে বলেও জানান তিনি। ফখরুল বলেন, মামলা দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় বিরোধী মতকে মাঠ থেকে সরানোর কাজ শুরু করেছে। এমনকি মিথ্যা মামলায় চূড়ান্তভাবে রায় দেওয়ার জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা করে বিচারবিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে রায় দেওয়ার চত্রান্ত করছে। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের, যারা দায়িত্ব পালন করছে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ফখরুল ইসলাম আরও অভিযোগ করেন, এখন পর্যন্ত বিএনপির ১ লাখ ১১ হাজার ৫৪৩টি মামলায় ৭৮ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে সাজানো মামলায় চার্জ গঠন করে সাজা দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।
আরও পড়ুন: গ্যাস কম থাকবে যেসব এলাকায়
সরকারের পদত্যাগ এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমে ১০ দফা দাবি মেনে নিওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অন্যথায় উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে। আন্দোলন বাধাগ্রস্থ করা যাবে না। সময় থাকতে দাবি মেনে নিতে হবে, অন্যথায় রাজপথেই ফয়সালা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিদেশিদের কাছে বিএনপি নালিশ করে না। রুটিন ওয়ার্কের অংশ হিসাবে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে বিএনপি।
সান নিউজ/এনকে