স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। ১৯০টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৪১৪টি কক্ষে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট শুরু হয়।
আরও পড়ুন : চট্টগ্রাম-৮ আসনে ভোট গ্রহণ শুরু
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে নোমান নোমান আল মাহমুদ, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মোমবাতি প্রতীকে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি- এনপিপির কামাল পাশা এবং একতারা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী মাঠে রয়েছেন।
এদিন সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম মহানগরের বহদ্দারহাট এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ।
আরও পড়ুন : অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী
তিনি ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় সব কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে এবং স্বতঃস্ফূর্ত ভোটার উপস্থিতিতে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানান।
নির্বাচনে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি- এনপিপি’র কামাল পাশা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের নিজ দলের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন।
আরও পড়ুন : জনগণ ফুঁসে উঠেছে, পতন অনিবার্য
উল্লেখ্য, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি এবারের উপ-নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। এ কারণে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার সময় থেকে এ পর্যন্ত তেমন কোনো ধরনের উত্তেজনা ছিল না। জয় নিশ্চিত জেনে ভোটার কাছে গিয়ে তেমন গণসংযোগ করেননি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ।
দলীয় মনোনয়ন পেয়েই নেতাকর্মীদের অভিনন্দনের পোস্টার-ব্যানারে ভেসেছেন তিনি। অন্যান্য প্রার্থীর গণসংযোগও তেমন দেখা যায়নি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে, এবারের নির্বাচনে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৬৩ হাজার ৫৪৩ জন ও নারী ভোটার দুই লাখ ৫৪ হাজার ১০৯ জন।
আরও পড়ুন : লক্ষ্মীপুরে ২ নেতাকে গুলি করে হত্যা
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। কোনো ধরনের অভিযোগও আসেনি।
নির্বাচনে পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসার ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি জুডিশিয়াল এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। আশা করি শান্তিপূর্ণ উপায়ে নির্বাচন শেষ হবে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। পরে আসন শূন্য ঘোষণার গেজেট ইসিতে এলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে কমিশন।
আরও পড়ুন : সাবেক তথ্যমন্ত্রী শামসুল ইসলামের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী
২০১৯ সালে এ আসনটি এর আগেও একবার শূন্য হয়েছে। মহাজোটের শরিক হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন তিনি। পরে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে এসেছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ।
সান নিউজ/এইচএন