নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ধর্ম ব্যক্তির কিন্তু উৎসব সর্বজনীন
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গুম, খুন, নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হওয়া ও শহীদ পরিবারদের কান্না কখনো বৃথা যেতে পারে না।
বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচিতে ক্ষতিগ্রস্ত ১১টি পরিবারের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন বিএনপি নেতারা।
আরও পড়ুন: আমরা মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমিয়েছি
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য একদিকে সন্ত্রাস, আরেকদিকে দুর্নীতি। এ দুটো নিয়েই তারা ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এরা সাদা গাড়িতে করে লোক তুলে নিয়ে গিয়ে গুম করেছে। শহীদ পরিবারদের কান্না কখনো বৃথা যেতে পারে না। বিজয় আমাদের হবেই। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ গুম খুনের মধ্যে তারা চুপ করে বসে থাকবে না । তারা নেমে পড়েছেন। ইতোমধ্যে সম্মুখে আন্দোলন করতে গিয়ে ১৭ জন প্রাণ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গুম, খুন অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান, জাতিসংঘ সবাই কথা বলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে র্যাবের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্যাংশন দিয়েছে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য এই কর্মকর্তাদের সরকার পুরস্কৃত করেছে।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের বায়োমেট্রিক শুরু
বিএনপির মহাসচিব বলেন, উন্নয়নের নামে এই শাসকগোষ্ঠী বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। একদিকে তারা বাড়ি গাড়ির মালিক হয়েছে। ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে তারা বিদেশে বাড়ি করে বিলাসি জীবন যাপন করছে। অন্যদিকে, সাধারণ মানুষ দুবেলা দু’মুঠো খাবারের জন্য সংগ্রাম করছে। কারণ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য হাতের নাগালের বাইরে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন ‘স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও মানুষ বলছে এ কেমন স্বাধীনতা? উন্নয়নের কথা বলে, উন্নয়ন ফাঁকা বেলুন। দেশের জনগণ যা চাইছে সেটা প্রধানমন্ত্রী শুনছেন না। আইএমএফ এর কথা শুনে জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, কঠিন সময় পার করছি। দেশের মানুষ কথা বলতে পারেনা। কালো আইন করে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিচ্ছে সরকার। এ আইনকে বাতিল করতে হবে। স্বাধীনতার চেতনাকে ভুলণ্ঠিত করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য শাম্মি আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/এনকে