নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনিত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘঠেছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে গোপীবাগের আর কে মিশন রোডে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় সংঘর্ষে গণমাধ্যমকর্মীসহ ১০-১২ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
হামলায় আহত একজন গণমাধ্যমকর্মী বলেন, ‘দুপুরের দিকে আর কে মিশন রোডে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন গণসংযোগ করছিলেন। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত মিছিলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ১০-১২ জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন।’
হামলায় প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন জানিয়ে ইশরাকের নির্বাচনী প্রচার সেলের প্রধান খুরশীদ আলম বলেন, ‘বেলা সাড়ে ১১টায় প্রচারণা শুরু করে গোপীবাগের সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের সামনে গেলে রাস্তার দু’পাশ থেকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত অতর্কিতে হামলা চালায়। এ সময় দু’গ্রুপের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠি নিয়ে কিছুক্ষণ সংঘর্ষ চলে। এতে প্রায় ১৫ নেতাকর্মী আহত হন।’
ওয়ারী থানার ডিউটি অফিসার শিলা আকতার জানান, তারা ৯৯৯ থেকে প্রথম সংঘর্ষের খবর পান। এরপর সেখানে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয় এবং পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হামলার ঘটনার পর নিজ বাড়িতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক বলেন, ‘নির্বাচনকে বানচাল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ হামলা হয়েছে। আমরা হাটখোলা থেকে টিকাটুলি হয়ে আমার বাসার দিকে ফিরছিলাম জনসংযোগ শেষে। আমার বাসা থেকে আমরা মাত্র দুই মিনিট দূরে ছিলাম।’
‘আমাদের ফেরার রাস্তার পাশে একটি নির্মাণাধীন বিল্ডিং থেকে আমাদের উপর আক্রমণ করা হয়। এই নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীর ক্যাম্প ছিল। এই প্রার্থীর ক্যাম্প থেকে এক দল যুবক বড় বড় ইট নিয়ে আমাদের উপর নিক্ষেপ করে। এতে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভেঙে যায়। কয়েকজন ক্যামেরাম্যান আহত হন।’
বিএনপির জনপ্রিয়তায় ‘ঈর্ষান্বিত’ হয়েই এ হামলা চালানো হয়েছে মন্তব্য করে ইশরাক আরও অভিযোগ করেন, ‘কেবল ইটপাটকেল না, তাদের দিকে গুলিও ছোড়া হয়েছে।’
দলীয় সূত্র জানায়, প্রায় আধাঘণ্টা পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। বর্তমানে ইশরাক গোপীবাগে তার বাসায় অবস্থান করছেন। এ ঘটনায় দুপুরেই নিজ বাসভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইশরাক।