সান নিউজ ডেস্ক : সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক এতে কোনো সন্দেহ নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশেই আমরা দেখেছি স্বাধীনতা দিবসের দিন সেদেশের গণমাধ্যম অনুপ্রেরণামূলক বাণী দিয়ে উৎসাহ করে। আর প্রথম আলো তাদের প্রভুদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য জাতির সামনে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে, তরুণ প্রজন্মকে হতাশা ও উস্কানি দেওয়ার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন : সোনার খনি ধসে ১৪ জন নিহত
আজ (শনিবার) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের এক যৌথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সাত বছরের একটি শিশুকে ১০ টাকা ঘুষ দিয়ে বক্তব্য নেওয়া, সেটা কি সাংবাদিকতা। স্বাধীনতা দিবস তরুণ প্রজন্মের দেশাত্মবোধ সৃষ্টির এক অনন্য দিন, অথচ, এই দিনে পলিটিক্যাল সিলেক্টটেড বিশেষ এক এজেন্ডা সেটিং এর উদ্দেশ্য এই সংবাদটি প্রকাশ মহান স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার সামিল নয়?
আরও পড়ুন : ইউক্রেনকে সহায়তা দিচ্ছে আইএমএফ
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়টি যে আমাদের রাজনৈতিক জীবনের সংকট ঘনীভূত করছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়ে কী করব? শিরোনামের সংবাদ এই ষড়যন্ত্রটির একটি অংশ। এই সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট, ষড়যন্ত্রমূলক এতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবসের দিনে দেশের অর্জন মর্যাদা নিয়ে তামাশা করা সাধারণ কোনো ভুল নয়। নিশ্চয়ই এটি অনৈতিক কাজই নয়, ফৌজদারি অপরাধ। দেশের একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালাচ্ছে। সেটা দেশের কোনো বিবেকবান মানুষের না বোঝার কথা নয়। প্রথম আলোর সম্পাদক-প্রকাশক কী দায় এড়াতে পারেন? তারা কি তাদের এই গৃহীত অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন? ক্ষমা চেয়েছেন? কোনটাই করেননি।
আরও পড়ুন : সমুদ্র সৈকতে বর্জ্যের ঢল
রিপোর্টার্স উইথআউট বর্ডারের বিবৃতি নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এই প্রতিষ্ঠান বলছে সাংবাদিকদের ভয় দেখানোর জন্যই সরকার এ ধরনের মামলা করেছে প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে। আমি প্রথমে বলতে চাই সরকার কিন্তু এখানে মামলা করেনি। মামলা সাধারণ একজন নাগরিকও করতে পারে। সরকার মামলা করেছে এটা সর্বাগ্রে মিথ্যা। আর ভয় দেখানোর কথা যে বলা হচ্ছে কাকে ভয় দেখাবো? যাকে ভয় দেখানোর কথা বলা হয়েছে তিনি এই দেশের মানুষকে ভয়ের মধ্যে রাখতে চেয়েছিলেন। তিনি এদেশে রাষ্ট্রকে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ভয় দেখিয়েছিলেন। তিনি এদেশে রাজনীতিকে ভয় দেখিয়েছিলেন। তিনি এদেশের সংবিধানিক সরকারকে ভয় দেখিয়েছিলেন অসংবিধানিক সরকারের পক্ষে ওকালতি করে। তারপরও কি ওয়ান-ইলেভেন আমাদের মনে নেই? কে কাকে ভয় দেখায়। তিনি বিরাজনীতির ফায়সালা নিয়ে পত্রিকার রিপোর্ট করেছেন আমরা কি ভুলে গেছি?
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রথম আলো আর বিএনপি সাপ্লিমেন্ট করে একে অপরকে। টার্গেট শেখ হাসিনা, টার্গেট সরকার, টার্গেট জনগণ। টার্গেট আগামী নির্বাচন ভন্ডুল করা।
আরও পড়ুন : ছুরিকাঘাতে দুই যুবককে হত্যা
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক লিংক এদের অনেক শক্ত। তাই এ খবর ছড়িয়ে দিয়েছে যে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির জন্য রিপোর্ট করায় এই পত্রিকার, এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য রিপোর্ট করার জন্য টকশোতে অংশ নেওয়ার জন্য সরকার কি একজন লোকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে? তাহলে মিথ্যা সংবাদ আজকের সারা দুনিয়ায় রটানো হচ্ছে যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্যই রিপোর্ট করাতে এই সাংবাদিক এই সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
কাদের বলেন, সাংবাদিকরা আমাদের শত্রু নয়। কিন্তু প্রথম আলো আপনাদের সঙ্গে শত্রুতা করছে। বিএনপিকে আমরা ভাবি প্রতিপক্ষ, বিএনপি আমাদের ভাবে শত্রু। প্রথম আলো আমাদের শত্রু ভাবে। প্রত্যেকের সম্পাদকীয় পলিসি আছে।
আরও পড়ুন : সীমান্তে বিজিবির ওপর হামলা, নিহত ১
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করে আমরা কি ভুল করে ফেললাম! সেই ডিজিটাল মাধ্যমে এখন আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে। তারা এ বিষয়টা অত্যন্ত চতুরভাবে করে যাচ্ছে।
সান নিউজ/এমআর