নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আওয়ামী লীগ সবাইকে ছোট করে দেখাতে পছন্দ করে। আওয়ামী লীগ কাউকে সম্মান দিতে জানে না। তারা তাজউদ্দিন আহমেদ ও মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নাম মুখেও নেয় না।’
আরও পড়ুন: কমলো হজের খরচ
বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিএনপির সাবেক মহাসচিব মরহুম কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৬ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রিপোর্ট প্রকাশের পর আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের মতো বানিয়ে কথা বলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেরা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘৭১ থেকে আওয়ামী লীগ একক ক্ষমতার নেতৃত্বে বিশ্বাস করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আওয়ামী লীগ সবাইকে ছোট করে দেখাতে পছন্দ করে। আওয়ামী লীগ কাউকে সম্মান দিতে জানে না। তারা তাজউদ্দিন আহমেদ ও মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নাম মুখেও নেয় না।’
আরও পড়ুন: ঈদে ৯ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে
আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার পুরনো স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে- এ মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা সচেতনভাবে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র সরিয়ে ফ্যাসিবাদ, কর্তৃত্ববাদ ও একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করছে।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ভোটে বিশ্বাস করে না। ক্ষমতা মাটিতে পড়ে থাকবে তবু আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না। এটি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের লড়াই। ব্যাপক গণঅভ্যুত্থান ও গণআন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের বিদায় হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জনগণকে বাদ দিয়ে অব্যাহতভাবে ক্ষমতা দখল করে রাখার রাজনীতি সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ। সংবিধানকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে তারা। জনগণকে বাইরে রেখে সংবিধানের কথা বলা আওয়ামী লীগের মুখে শোভা পায় না। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা ভোগ করছে তারা।’
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ নির্মাণে যেসব মানুষ অবদান রেখেছেন তাদের স্মরণ করা হয় না। তাদের নামগুলো পরিকল্পিতভাবে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তাদের হীনমন্যতার কারণে শুধুমাত্র একজনকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’
আরও পড়ুন: বাজারে পণ্যের ঘাটতি নেই
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী।
সান নিউজ/এসআই