নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে খুব সফলভাবে বিরাজনীতিকরণ চলছে। তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকার বা বেসামরিক সরকারের হাতে বিরাজনীতিকরণ হচ্ছে। সামরিক সরকার এলেই আগে রাজনীতিবিদরা বলতেন, সামরিক সরকার বিরাজনীতিকরণের মাধ্যমে রাজনীতি নষ্ট করছে। এখন রাজনীতিতে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। এই শূন্যতা কোনো না কোনোভাবে পূরণ হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
আরও পড়ুন: উন্নয়নশীল দেশ করতে সক্ষম হয়েছি
শনিবার তার বনানী কার্যালয়ে জাপায় যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, দেশের শাসনকার্যে এখন সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নেই বললেই চলে। দেশের মানুষের মতামতের কোনো দাম নেই। এখন জনগণের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হচ্ছে না। নির্বাচন ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। সঠিকভাবে নির্বাচন না হলে মানুষ দেশের শাসনব্যবস্থা থেকে দূরে চলে যায়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। জনসাধারণ যেন কথা বলতে না পারে, সেজন্য বিভিন্ন আইন করা হয়েছে। তাই, এখন সাধারণ জনগণ প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারছে না, জনগণ কথাও বলতে পারছে না। জনগণ রাজনীতি থেকে দূরে চলে গেছে।
আরও পড়ুন: নেপালে উপ-প্রধানমন্ত্রীসহ ৪ জনের পদত্যাগ
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান, সমাজসেবক কাজী মো. ফারুক (সেন্টু) এবং আবরার শিশির অনুষ্ঠানে জি এম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাপায় যোগ দেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মোস্তফা আল মাহমুদ প্রমুখ।
এদিকে, গতকাল সকালে সামরিক কবরস্থানে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহিদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে দোয়া-মোনাজাত করেন জি এম কাদের।
তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার ও তদন্তপ্রক্রিয়া স্বচ্ছ হয়নি। বেশির ভাগ শহিদ পরিবার মনে করে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার ও তদন্তে স্বচ্ছতা নেই। তাই শহিদ পরিবারের মনে ক্ষোভ আছে। শহিদ পরিবারের সদস্যদের সন্তুষ্ট হতে দেখিনি।
আরও পড়ুন: জোর করে নির্বাচনে আনা হবে না
তিনি আরও বলেন, এত বড় হত্যাকাণ্ড হয়ে গেল কেউই কিছু জানতে পারল না। কেউ আঁচ করতে পারলে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? আবার, এমন ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়িত্বশীল যারা আঁচ করতে পারেননি, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর জাতি জানতে চায়।
জাপা চেয়ারম্যান এ সময় আরো বলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত মর্মান্তিক দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধে যত সেনা কর্মকর্তা শহিদ হয়েছেন, তার চেয়ে বেশি সেনা কর্মকর্তা শহিদ হয়েছেন পিলখানা হত্যাকাণ্ডে। আমার ভাগ্নেও এই হত্যাকাণ্ডে শহিদ হয়েছেন। জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান, এস এম ফয়সল চিশতী ও মোস্তফা আল মাহমুদ; দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান এমপি প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/এনকে