সান নিউজ ডেস্ক : পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করে কত বড় ভুল করেছেন তা যতই দিন যাবে ততই অনুধাবন করতে পারবেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ছেড়ে দেওয়া আসনগুলোতে উপনির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হওয়ার মধ্য দিয়ে ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ হয়েছে।
আরও পড়ুন : আবদুস সাত্তার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মোড়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে উপনির্বাচন হয়েছে, বগুড়া, ঠাকুরগাঁও, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- মোট ছয়টি উপনির্বাচন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাকি মাগুরার দাদা হয়েছে, দাদা হবে। দাদাও হয়নি, নানাও হয়নি, মাগুরাও হয়নি, নির্বাচন হয়েছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটু হাতাহাতি হয়েছে। এছাড়া সব কয়টি নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কে জিতল কে হারলো এটা আমাদের মূল বিষয় নয়, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারও গণতন্ত্রের বিজয়, গণতন্ত্র এখানে বিজয়ী। এরা অপপ্রচার করে এই সরকারের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে।
আরও পড়ুন : হেরে গেলেন হিরো আলম
বিএনপি আসন ছেড়ে দিয়ে ভুল করেছে দাবি করে তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব ছয়টি সিট আপনাদের ছিল, পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করে কত বড় ভুল করেছেন তা যতই দিন যাবে ততই অনুধাবন করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, ইলেকশনে আসেন, প্রকাশ্যে আসেন, ঘোমটা পরে নেমেছে স্বতন্ত্র পাখি, বিএনপির পাখি। লজ্জা করে না, ফখরুলের লজ্জা করে না, ঘোমটা পরা পাখি নিয়েছে, নেতাকর্মীদের মাঠে নামিয়েছে আর দোষ দিচ্ছেন সরকারের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, মির্জা আব্বাস বলে সরকার নাকি ভয় পেয়ে গেছে। সরকার ভয় পেয়েছে, না আপনারা ভয় পেয়েছেন! সরকার শান্তি সমাবেশ দিয়ে শুরু করেছে, এখনও শান্তি সমাবেশ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : বিএনপির হাঁকডাক সবই ব্যর্থ
তিনি আরও বলেন, আপনারা সরকারের পতন, গণঅভ্যুত্থান, লাল কার্ড দেখে এখন কেন অন্তিম পদযাত্রায় নামলেন। জিজ্ঞাসা- ভয় পেল কে? বিক্ষোভ থেকে নীরব পদযাত্রা, কোথায় বিক্ষোভ, আমরা শান্তিতে ছিলাম, শান্তিতে আছি, শান্তিতেই থাকব বলেও জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ভয় আমরা পাই না, ভয় পেয়েছে বিএনপি। কর্মসূচি এখন কেবলই নরম হচ্ছে। বিএনপির নীরব মিছিল দৈর্ঘ্যে কম, প্রস্থে বেশি মন্তব্য করে কাদের বলেন, রাজনৈতিক কর্মী কমে যাচ্ছে, নেতায় নেতায় প্রস্থ বেড়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : দেশে এসে মামলা মোকাবিলা করুন
তিনি আরও বলেন, খেলা হবে... আগামী নির্বাচনে, সেদিন প্রমাণ হবে কাদের পায়ের তলায় মাটি আছে, কাদের নাই। নির্বাচনে জনপ্রিয়তা যাচাই হবে, জনগণ ভোট দিয়ে যাচাই করবে। কাজেই এখন আপনি দাবি করছেন সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। আপনাদের পায়ের তলায় মাটি আছে? জনগণ আছে?’
আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবু-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি প্রমূখ।
সান নিউজ/এইচএন