সান নিউজ ডেস্ক : আজ শেখ হাসিনার হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর সকল স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ছাত্রলীগের আয়োজিত জাতির পিতা ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: ভেঙেছে দুয়ার এসেছে জ্যোতির্ময় শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলির সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি এক উজ্জ্বল জ্যোতির্ময় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। ফাঁসির মঞ্চ থেকে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধু সেই ধ্বংস্তূপ বাংলার মাটি ও মানুষকে গড়ে তুলেছেন শূন্য থেকে।
আরও পড়ুন : জিএম কাদেরের নিষেধাজ্ঞা বহাল
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ঘটনার স্মৃতি চারণ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাংলার মানুষের এত আগ্রহ ছিল যে বিমান বন্দরে মানুষের লোকারণ্যের কারণে অনেকবার বিমান মাটি স্পর্শ করতে গিয়েও পারেনি। ফাঁসির মঞ্চ থেকে নিজের স্বদেশে ফিরে এসে বঙ্গবন্ধুর অনুভূতি কেমন ছিল সেটা কখনো কেউ উপলব্ধি করতে পারবে না। একমাত্র বঙ্গবন্ধুর পক্ষেই তা সম্ভব।
বিমান থেকে নেমে তিনি বাংলার মাটিতে এক উজ্জ্বল জ্যোতির্ময় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সেদিন তিনি যে বক্তব্যটা দিয়েছিলেন, তার কণ্ঠ বারবার আবেগে রূদ্ধ হয়ে আসছিল। বঙ্গবন্ধুর সেই বক্তব্য সাধারণ জনতাকে স্পর্শ করে গিয়েছিল। তিনি মানুষের হৃদয়ে যে উচ্চাসন দখল করেছিলেন তা আর কারো দ্বারা সম্ভব না।
আরও পড়ুন : গণতন্ত্র অনেক আগেই উদ্ধার হয়েছে
তিনি বলেন, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের যে গ্যারান্টি বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন তার কন্যার হাত ধরে তা আজ রূপ নিয়েছে বাস্তবে। তার প্রমাণ আজ আমাদের সামনে। পাকিস্তান পার্লামেন্টের একজন মেম্বার বক্তব্য দেওয়ার সময় বলেন, আমরা পাকিস্তানকে সুইজারল্যান্ড বানাবে। এর জবাবে আরেকজন মেম্বার উঠে দাঁড়িয়ে বলেন আমরা সুইজারল্যান্ড চায়না, আমাদেরকে বাংলাদেশ বানিয়ে দাও।
এ জিনিসগুলো শুনলে নিজের রাজনৈতিক জীবন স্বার্থক মনে হয়। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ অংশগ্রহণকারী হিসেবে এবং বঙ্গবন্ধুকে নেতা মেনে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একজন কর্মী হিসেবে আমার জীবনে আর কি চায়।
আরও পড়ুন : কারামুক্ত হলেন সালাম ও এ্যানি
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, শুধু ১০ জানুয়ারি নয়, একজন কৃতজ্ঞ বাঙালি হিসেবে প্রতিদিনই আমাদের বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করা উচিত। অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে তিনি পাকিস্তানিদের কাছে কখনো মাথা নত করেননি। জাতির পিতার শাসনামলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৬ শতাংশ, যা আমরা এখনো স্পর্শ করতে পারিনি।
বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় সে সময়ে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ২৭৮ ডলার। সেই সময়ে পরাশক্তি চীনের জিডিপি ছিল ১৭৮ ডলার। যে পাকিস্তানকে আমরা পরাজিত করেছিলাম সে পাকিস্তানের জিডিপি ছিল ১৬৮ ডলার এবং ভারতের ছিল ১৫৮ ডলার।
আরও পড়ুন : আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
সান নিউজ/এইচএন