সান নিউজ ডেস্ক: স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বিএনপির ৭ সংসদ সদস্য (এমপি)। তারা (বিএনপির এমপি) স্ব-স্ব স্বাক্ষরযুক্ত সাতজনের আবেদন জমা দিয়েছেন। পাঁচ জন সশরীরে ছিলেন, তাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পদত্যাগপত্র দিলেন বিএনপির ৭ এমপি
তিনি বলেন, সংবিধানের ৬৭(২) অনুযায়ী ওই আসনগুলো শূন্য হয়ে গেছে। বাকী দুইজনের আবেদন যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে সংসদ ভবনে স্পিকারের দপ্তরে যান বিএনপির সংসদ সদস্যরা। তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর গণমাধ্যমকর্মীদের স্পিকার এ কথা বলেন।
বিএনপির সাত সংসদ সদস্যের মধ্যে আব্দুস সাত্তার অসুস্থ থাকায় এবং হারুনুর রশিদ বিদেশে থাকায় আসতে পারেননি।
আরও পড়ুন: পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর গাইডলাইন অনুমোদন
স্পিকার জানান, এরমধ্যে আব্দুস সাত্তার অসুস্থ থাকায় সংসদ সচিবালয় তার স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখবে ও কথা বলবে। সব ঠিক থাকলে তার আবেদনও গৃহীত হবে। তবে ই-মেইলের মাধ্যমে দেওয়ায় হারুনুর রশীদের আবেদন গ্রহণ হবে না, তাকে পরে এসে জমা দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আসন শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশের পর তাদের কাছে পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে।
আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে উপ নির্বাচন হবে জানিয়ে স্পিকার বলেন, ‘আসন শূন্যের এখন গেজেট হবে। পরে অধিবেশন যখন বসবে সেখানেও জানানো হবে।’
আরও পড়ুন: নেতারা কর্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন
৩৫০ আসনের সংসদে বিএনপির সাত জন সংসদ সদস্য হলেন উকিল আব্দুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), হারুনুর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), জি এম সিরাজ (বগুড়া-৭), আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪) ও রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত নারী আসন)। এদের মধ্যে হারুন বিদেশে রয়েছেন। তিনি পদত্যাগপত্র স্বাক্ষর করে পাঠিয়েছেন বলে জানানো হয়। অন্যরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার, ট্রেন চলাচল শুরু
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে ভোটে অংশ নিয়েছিল। সেই নির্বাচনে বিএনপির ছয় জন বিজয়ী হন, পরে সংরক্ষিত নারী আসনের একটি পায় দলটি। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে শুরুতে বিএনপি জানিয়েছিল, তারা সংসদে যাবে না। পরে সিদ্ধান্ত বদলে শপথ নেন দলটির সংসদ সদস্যরা।
সান নিউজ/এনকে