সান নিউজ ডেস্ক: থাইল্যান্ডে দীর্ঘদিন চিকিসা শেষে দেশে ফিরে জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, বিএনপির সময়ে আমরা অনেক কষ্ট ও ভোগান্তির শিকার হয়েছি।বেশ কিছুদিন ধরেই বিএনপির সঙ্গে জাতীয় পার্টির জোট গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক গুঞ্জন চলছে। তবে বিষয়টি সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
আরও পড়ুন: আপাতত হচ্ছে না পদ্মা ও মেঘনা বিভাগ
পাঁচ মাস চিকিৎসার পর রোববার দুপুরে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে আসেন জাতীয় পার্টি ও বিরোধীদলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনূর রশীদ, এরশাদপুত্র রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ ও পুত্রবধূ মাহিমা সাদ।
রওশন এরশাদ বলেন, বিএনপির সময়ে জাতীয় পার্টি খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের নেতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং আমি ও আমার সন্তানসহ দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী জেল খেটেছেন। তখন আমাদের জনসভাও করতে দেয়া হয়নি। সেই দিনগুলো আমরা ভুলবো কী করে? তাছাড়া আমরা তাদের শাসনামলে হাওয়া ভবনের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও অপতৎপরতা দেখেছি।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমি আবারও বলছি, পার্টিকে বিভক্ত করার প্রশ্নই ওঠে না। বরং আমি জাতীয় পার্টির সব সদস্যকে খোলা মনে আহ্বান জানিয়েছি- যারা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নাজিউর রহমান, কাজী জাফর আহমদের সঙ্গে চলে গেছেন এবং নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন, তাদের ফিরে আসার জন্য। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টির কঠিন ও প্রতিকূল সময়ে যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, তাদেরকে আমাদের অবশ্যই যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ১০ মাসে ধর্ষণের শিকার ৮৩০ নারী
রওশন বলেন, জাতীয় পার্টির জন্য যারা কষ্ট করেছেন, জেল খেটেছেন এবং জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের সবার নিকট আমি কৃতজ্ঞ। আমি ঢাকায় ফিরে এসেছি, আমি পার্টির সব এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং অন্যান্যদের সঙ্গে যেকোনো বিভ্রান্তি ও ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে বসবো। আমি নিশ্চিত, সেই ভুল বোঝাবুঝি দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে শিগগির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফিরতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারের প্রতি আস্থা জানিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন বজায় রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দুর্নীতি, অর্থনীতিতে অব্যবস্থাপনা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির মতো কিছু ক্রটি রয়েছে। আমি নিশ্চিত যে, প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে অবগত আছেন।
আরও পড়ুন: সমাবেশে সরকার বাধা দেবে না
রওশন এরশাদকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান এবিএম রুহল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, এসএমএম আলম, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ্, প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, নাসরিন জাহান রত্না এমপি, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মিলন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, জাতীয় ছাত্রসমাজের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান টিটু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নূরু, মনোয়ারা তাহেরা মানু, আমেনা হাসান প্রমুখ।
সান নিউজ/এসআই