জেলা প্রতিনিধি, পাবনা : পাবনা শহরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড়শ নেতাকর্মীর নামে মামলা করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : আমাদের সমাবেশগুলো সফল হয়েছে
সোমবার (২১ নভেম্বর) সন্ধা ৭ টার দিকে পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রোকনুজ্জামান সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত রোববার (২০ নভেম্বর) বিকেল ৫ টার দিকে ট্রাফিক মোড়ের ঘোড়াস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ দাবি করেছেন। মামলার বাদী হয়েছেন সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক( এসআই) মোঃ আরিফুল ইসলাম।
মামলার আসামিরা হলেন- পাবনা জেলা যুবদলের আহবায়ক হিমেল রানা, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসলিম হাসান খান সুইট, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান প্রিন্স, ছাত্রদল নেতা তরুন, বিএনপি নেতা স্বপন।
আরও পড়ুন : পদবাণিজ্য নিয়ে নেতাদের বক্তব্য ভিত্তিহীন
পাবনা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসলিম হাসান খান সুইট বলেন, পাবনা শহরের ককটেল বিষ্ফোরণের কোন ঘটনা না ঘটলেও নাটক সাজিয়েছে পুলিশ। সেজন্য গায়েবীভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়েছে।
চলমান আন্দোলনে বিএনপি নেতাকর্মীরা যাতে অংশ গ্রহণ করতে না পারেন সেই জন্য পুলিশ রহস্যজনক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এখন পর্যন্ত থানা থেকে আমাদের নামে কোন মামলার নোটিশ দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন : আওয়ামী লীগ হিমালয় পর্বতের মতো
পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট মাসুদ খন্দকার বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীর সমাবেশে পাবনা থেকে যাতে নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করতে না পারেন। এখান থেকে যাতে বিএনপি নেতারা সাধারণ লোকজনকে সমাবেশ নিয়ে যেতে না পারেন সেই ষড়যন্ত্র হিসেবে পুলিশ মামলা করছে।
সরকার পতনের আন্দোলনের অংশ হিসেবে চলমান সমাবেশকে নস্যাৎ করার জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গায়েবী ককটেল বিষ্ফোরণের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : ঢাবি ছাত্রলীগের সম্মেলন ৩ ডিসেম্বর
গত নির্বাচনের আগে যেমন পুলিশ ভৌতিক-গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করেছিলো ঠিক আগামী নির্বাচনের আগে এমন মামলা দিচ্ছে। এটা পানির মত পরিষ্কার যে কি জন্য মামলা দিয়েছে।
মামলা-হামলা করে আগামী ৩ ডিসেম্বরের রাজশাহীর জনস্রোত ঠেকাতে পারবে না এই সরকার। এঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান তিনি। অবিলম্বে মামলার প্রত্যাহারের দাবিও করেন তিনি।
আরও পড়ুন : আগামী নির্বাচন সরকারের অধীনে হবে
পাবনা সদর সার্কেরের অতিরিক্ত পুলিশ পুলিশ সুপার রোকনুজ্জামান সরকার বলেন, বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রোববার বিকেলে শহরে ককটেল বিস্ফোরণ করে এলাকায় নাশকতার সৃষ্টি করেছে। পরে সেখানে গিয়ে ৩ টি ককটেল পাওয়া যায়।
পরে অনুসন্ধানে বিএনপি নেতারা জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। সেদিন রাতেই ৭ জনের নাম উল্লেখ ও বাকিদের অজ্ঞাত করে মামলা করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এইচএন