নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল বারী বাবু (৫১) মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহে রাজিউন। মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) ভোর ৪টায় রাজধানীর এভার কেয়ার (সাবেক অ্যাপোলো হাসপাতাল) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ২০ দিন ধরে বাবু অসুস্থ ছিলেন। সোমবার (২৭ জুলাই) তাকে আনোয়ার খান মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে অবস্থা আরও অবনতি হলে এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভোর ৪ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
শায়রুল কবির খান জানান, বাবুর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল। সোমবার রাতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে হাবিবুর নবী খান সোহেল, আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, ইশরাক হোসেন, ইয়াসিন আলীসহ অনেকে সেখানে গিয়ে খোঁজ খবর নেন।
তিনি জানান, সকাল ১০টায় নয়া পল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে নামাজের জানাজা শেষে লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।’
বাবুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেকে। শফিউল বারীর আকস্মিক মৃত্যুতে পুরো বিএনপির নেতাকর্মীরা অত্যন্ত দুঃখিত বলে জানানো হয়েছে।
শোকবাণীতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতির এক নির্ভীক সৈনিক ছিলেন বাবু। দলের সব ক্রান্তিকালে বাবু দায়িত্ব পালন করতেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে। নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে বাবু থাকতেন সামনের কাতারে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি আইনের শাসন, মানবিক মর্যাদা, মৌলিক-মানবাধিকারসহ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে করোনার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই নিজের জীবনকে বিপন্ন করে নিরন্ন কর্মহীন মানুষের পাশে বারবার ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়েছেন সাবেক এই ছাত্রনেতা। অকালে পৃথিবী থেকে তার চলে যাওয়া দলের জন্য বড় ধরণের ক্ষতি। আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন।’
বাবু স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্যা গুণগ্রাহী গেছেন।
বাবুর মৃত্যুতে দেশব্যাপী জেলা, মহানগর এবং এর অধীনস্থ সবল থানা, উপজেলা ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের কার্যালয়ে মঙ্গলবার দিনব্যাপী খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।