সান নিউজ ডেস্ক: চলমান সমাবেশগুলো থেকে বিএনপি অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এর মাধ্যমে আমাদের মনে বিশ্বাস জন্মেছে।
আরও পড়ুন: ভোটে কোনো অনিয়ম ধরা পড়েনি
মামলা দিয়ে কীভাবে আন্দোলন বন্ধ করা যায় সেই প্রচেষ্টা সরকার শুরু করেছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা বুঝতে পারছে না জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, এখন তারা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। মামলা-হামলা করে কোনো লাভ হয়নি, এখনও হবে না। গত ১৫ বছর যাবত এ ধরনের কাজ করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।
রোববার (৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। যুগপৎ আন্দোলন ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে নাগরিক ঐক্য।
আরও পড়ুন: দেশে এখন লোডশেডিং নেই
এ সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা এখনি জেলে যাওয়ার বিষয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। এটা তো আগেই বোঝা উচিত ছিল। আমরা আশা করেছিলাম, তারা জনগণের চোখের ভাষা বুঝতে পারবে, তাদের কথাগুলো বুঝতে পারবে।
বিভাগীয় সমাবেশে বাধার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমাবেশগুলো দেখে যা মনে হয়েছে, মানুষ সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে চলে আসছে। বরিশালের সমাবেশে দুই দিন আগে লঞ্চসহ সব ধরনের যানবাহন বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। এমনকি নৌকা পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ সাঁতরে সমাবেশে উপস্থিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে আর ছাড় নয়
মাহমুদুর রহমান মান্নার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদেরকে মন্ত্রী বানাতে হবে না, তবে পরিবর্তন আনুন, দেশের মানুষকে বাঁচতে দিন। দেশের মানুষের আশা-স্বপ্নের একটি ক্ষেত্র তৈরি করে দিন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা যুগপৎ আন্দোলন করার বিষযয়ে সবাই একমত হয়েছি। এখন বাকি বিষয়গুলো নিয়ে দ্রুত আলোচনা করা হবে। আমরা এক সঙ্গে সামনে এগিয়ে গেলে অবশ্যই জয়ী হবো বলে বিশ্বাস করি।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মানুষ এই স্বৈরাচার সরকারের পতন চায়। শেষপর্যন্ত পতন হতেই হবে। এরপর ক্ষমতায় যেই আসুক না কেন জনগণ যেন তাদের অধিকার ফিরে পায়।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলের সমাবেশ নিয়ে ইত্রামি
পুরো পরিস্থিতি বদলে গেছে দাবি করে মান্না বলেন, বিরোধী দলের সমাবেশগুলো শুরু হওয়ার আগে ভয়ের চাদরে সারা দেশ ঢেকে রেখেছিলো। এখন কোনো ভয় নেই। আপনারা যেমন সাহস করে কথা বলছেন, গত কয়েকটি সমাবেশে এর চাইতে বেশি সাহস আমরা দেখেছি। সাহস ও প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে গেলে এই সরকারের পতন হতে বাধ্য।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
সান নিউজ/এনকে