সান নিউজ ডেস্ক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে দুর্ভিক্ষ হলে এর দায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারকেই নিতে হবে। ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলেও দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। মানুষ খাবার খেতে না পেরে রাস্তায় পড়ে ছিল। এখন আবার সেই অবস্থা ফিরে এসেছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ছয়জনের মৃত্যু
শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে রংপুরের ঐতিহাসিক কালেক্টরেট ঈদগাহে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১০ কেজির চাল খাওয়াতে চেয়ে আওয়ামী লীগ এখন ৯০ টাকার চাল খাওয়াচ্ছে। চিনির দামও বেড়েছে। শাকসবজিও মানুষ কিনতে পারছে না। এটা দুর্ভিক্ষের লক্ষণ।
আরও পড়ুন: চাকরিটাকে এবাদত মনে করেছি
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক মিডিয়া এই সমাবেশের দিকে তাকিয়ে আছে। সরকার নাকি জনগণকে ভয় পায় না। ভয় না পেলে গাড়ি কেন বন্ধ করতে হয়, কেন আমাদের নেতাদের গুলি করে মারে?
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী সরকার গত ১৫ বছরে সব শেষ করে ফেলেছে। সব ক্ষেত্রে চুরি করেছে আওয়ামী লীগ। এমনকি আশ্রয়ণ প্রকল্পেও চুরি করেছে। আমাদের ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করেছে এই সরকার। সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করেছে। আলেম-ওলামাদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। এদের কি আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায়?
আরও পড়ুন: তরুণরাই আগামী দিনের নেতা
তিনি আরও বলেন, ‘অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন; দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। প্রশ্ন হচ্ছে দুর্ভিক্ষ হলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? এতদিন বলছেন দেশ মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর হয়ে গেছে তাহলে এই দুর্ভিক্ষ কেন? উনি বলছেন, কম খান, অল্প বিদ্যুৎ খরচ করেন। অথচ উনারা চিতল মাছ খাচ্ছেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণকক্ষে বসে আরাম আয়েশ করছেন, ঘনঘন বিদেশ যাচ্ছেন। আর সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। উনার বাবার শাসনামলেও দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল; তখনো মানুষ না খেয়ে মারা গেছেন। তাই যদি দুর্ভিক্ষ হয় তাহলে এর সম্পূর্ণ দায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারের।’
নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলের নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের সব বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনার পর আজ রংপুরে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সান নিউজ/এমআর