সান নিউজ ডেস্ক : সাম্প্রতিক সমাবেশগুলোতে হামলা প্রতিরোধ করতে বিএনপির নেতাকর্মীরা পতাকা হাতে অংশগ্রহণ করছে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রতিরোধের প্রয়োজনে পতাকার লাঠি আরও লম্বা করতে হবে।
আরও পড়ুন : নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৬
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির মরহুম সদস্য ব্রিগেডিয়ার আ স ম হান্নান শাহের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় এ কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
একদলীয় শাসন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে জানিয়ে রিজভী বলেন, বিএনপির কর্মসূচিগুলোতে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে খালি গায়ে গুলি করছে। তারপরও শেখ হাসিনার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। এত বেরিকেড, এত হত্যাকাণ্ডের পরও সাধারণ মানুষ সম্পৃক্ত হচ্ছে। কারণ আজকে মানুষ জেগে উঠেছে ন্যায়ের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়িয়েছে।
পতাকার যে লাঠি সে লাঠি আরও লম্বা করতে হবে। লম্বা লাঠি নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলেও জানান দলের এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
আরও পড়ুন : মেলোনি হতে যাচ্ছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
রিজভী বলেন, আপনারা দেখেছেন গণমানুষ কিভাবে বিএনপির কর্মসূচিতে আসছে? যারা পুলিশের গুলিতে মারা যাচ্ছে কেউ ইজিবাইকের ড্রাইভার, কেউ মেকানিক, কেউ উবারচালক। ওরা সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে জীবন দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপিতে আজকে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। গুলির পর রক্তে রঞ্জিত হয়ে শার্ট যে লাল হচ্ছে সেটি তখন আর শার্ট থাকে না। কবি শামসুর রাহমানের ভাষায় সেটি হয়ে যায় প্রাণের পতাকা।
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আজকে ইডেন কলেজের ঘটনা যখন পড়ি, তখন মনে হয় কোন দেশে আছি? কোন জায়গায় আছি? প্রধানমন্ত্রী আপনার কি টনক নড়ে না?
আরও পড়ুন : গৃহবধূকে ধর্ষণ-হত্যা, ৯ জনের যাবজ্জীবন
গোটা জাতিকে কোন জায়গায় নিয়ে গেছে আপনার ছাত্র সংগঠন? আপনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, জাতিসঙ্ঘের অধিবেশনে বড় বড় কথা বলছেন, আর নিজের ঘরে যে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত করছেন সেটার দিকে কি তাকিয়ে দেখেছেন?
তাকিয়ে দেখবে না, কারণ আপনার জবাবদিহি করার প্রয়োজন নেই। আপনার অবৈধ পার্লামেন্টে পছন্দের লোকদের এমপি-মন্ত্রী করেছেন সেখানে আপনার জবাবদিহিতার প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে এসেছে ‘সুবল’ দুর্গাপূজায় পাহারা দেবে। অদ্ভুত ব্যাপার যাদের কাছে গোটা জাতির নিরাপত্তা নেই, তারা যদি পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা দেয় তাহলে কী অবস্থা হবে?
আরও পড়ুন : তাকরীমকে সংবর্ধনা দিলো সরকার
মরহুম ব্রিগেডিয়ার হান্নান শাহের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের কথা বলতে গিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নেতৃত্বের প্রতি কিভাবে অবিচল থাকা যায় সেটা উনার জীবনী থেকে শেখা যায়। জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে এত এত ক্যু হয়েছে, উনি জিয়াউর রহমানের প্রতি, জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রতি, দেশের প্রতি অবিচল আস্থা দেখিয়েছেন। ১/১১ এর পর দুর্দিনে তিনি অবিচল থেকে দলকে সংগঠিত করেছেন।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও বি.জে. (অব.) হান্নান শাহ স্মৃতি সংসদের সদস্য সচিব মজিবুর রহমানের পরিচালনায় স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, শহীদুল ইসলাম বাবুল, হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান প্রমুখ।
সান নিউজ/এইচএন