সান নিউজ ডেস্ক: বিএনপির কমিটি গত চার মাসে তিনবার গঠিত হয়েছে। এ ঘটনা ঘটেছে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলায়।
আরও পড়ুন: তালাবদ্ধ ঘর থেকে দম্পতির লাশ উদ্ধার
এতে জনসাধারণের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টির পাশাপাশি উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীর মধ্যে চরম কোন্দল ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘ ১০ বছর আগে ২০১২ সালে ইকবাল সিকদারকে সভাপতি ও আক্কাস মাস্টারকে সাধারণ সম্পাদক করে জাজিরা উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। গত ২০১৬ সালে সভাপতি ইকবাল সিকদার মারা যায়। এর পর আর কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি।
আরও পড়ুন: কিশোর গ্যাংয়ের ১৮ সদস্য গ্রেফতার
দীর্ঘদিন কমিটি না থাকার পর গত ২৫ এপ্রিল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার একেএম নাসির উদ্দিন (কালু) স্বাক্ষরিত ১১৫ সদস্যবিশিষ্ট জাজিরা উপজেলার একটি কার্যকরী কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে মো. বজলুর রশিদ শিকদারকে সভাপতি ও ইয়াকুব ঢালীকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এর এক মাস পর মে মাসে মো. বজলুর রশিদ সিকদারকে সভাপতি ও মাস্টার আব্দুল করিম আক্কাস মাদবরকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট আরও একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ কমিটিতে সহসভাপতি করা হয় ইয়াকুব আলী ঢালী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয় আলমগীর হোসেনকে।
সবশেষ গত ১৪ সেপ্টেম্বর আবারও মো. বজলুর রশিদ শিকদার ও আব্দুল করিম মাস্টারের পদ ঠিক রেখে অন্যান্য সদস্যের পদ পরিবর্তন করে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট আরও একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে জুলহাস আকন, আজহার হোসেন ঢালীকে সহসভাপতি ও কাজী জয়নাল আবদীনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
আরও পড়ুন: কিশোর গ্যাংয়ের ১৮ সদস্য গ্রেফতার
বারবার পদ পরিবর্তনে জাজিরা উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের পাশাপাশি দলের মধ্যে ফাটল দেখা দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া এ উপজেলায় বিএনপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুবই কম, এর মধ্যে চার মাসে তিনটি কমিটি ঘোষণায় সাধারণ মানুষের কাছে দলটি হাস্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
জাজিরা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বারবার কমিটি গঠনের নামে একটি তামাশা করা হচ্ছে আমাদের সঙ্গে। এভাবে বারবার কমিটি পরিবর্তন করা একটি হাস্যকর বিষয়। এতে বিএনপির মধ্যে ভাঙন তৈরি ছাড়া আর কোনো লাভই হবে না।
এ ব্যাপারে জাজিরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি বজলুর রশিদ সিকদার বলেন, বারবার কমিটি পরিবর্তনের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। কমিটি করার সময় নেতারা আমাদের ডাকেন না। তার পরও সাধারণ সম্পাদক যে কমিটি করেন আমি তার সঙ্গে একমত। আমাকে সভাপতি করার জন্য জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: ২০ কোটি মুসলমান নিপীড়নের শিকার
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরদার একেএম নাসির উদ্দিন (কালু) বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ১৭ বার সংশোধন হয়েছে। দলীয় কারণেই কমিটি পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে দোষের কি?
এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা সভাপতি সফিকুর রহমান কিরণ বলেন, কমিটি একটাই হয়েছে। এর পর কেউ এডিট করে, ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে। আমি সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি।
সান নিউজ/এনকে