সান নিউজ ডেস্ক: গণফোরামের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে ড. কামাল হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মো. মিজানুর রহমানকে সভাপতি পরিষদের সদস্য পদসহ দলের সাধারণ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেছেন মোস্তফা মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরাম।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইদ, মহিউদ্দিন আ. কাদের, অধ্যাপক হাফিজ চৌধুরী, সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বরর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ড. কামাল হোসেন ও মো. মিজানুর রহমান ঘোষিত কমিটি সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও অগণতান্ত্রিক।
আরও পড়ুন: ফায়দা লুটতে চায় মিয়ানমার
সংবাদ সম্মেলনে গণফোরাম একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, আমরা নতুনদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে একট পরিবর্তন কামনা করি এবং সেই পরিবর্তন হলো একটা সুস্থ রাজনীতির বিকাশ। যেটার জন্য গণফোরামের জন্ম হয়েছিল। আজকে আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে একটি নিরেপক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করবো। এখান থেকে সরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই এবং আমাদের পথও খোলা নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা এর থেকে বিচ্যুত হবো না। আমাদের সামনে যেই ব্যক্তিই আসুক না কেন, তিনি যত শ্রদ্ধেয় বা সমাদিত ব্যক্তিই হোক না কেন, আমরা কিন্তু জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাদের সঙ্গে আপস করবো না।
আরও পড়ুন: ফের বেড়েছে মৃত্যু ও সংক্রমণ
তিনি আরও বলেন, গণফোরামের অচলাবস্থা নিরসনে এবং দেশব্যাপী সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ড. কামাল হোসেনের অনুমতি ও সমর্থন নিয়ে অত্যন্ত সফলভাবে গণফোরামের ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ওই অধিবেশনে এক হাজার কাউন্সিলরের সক্রিয় অংশগ্রহণে সর্বসম্মতিক্রমে গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে সভাপতি ও সাবেক নির্বাহী সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫৭ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত হয়।
অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক অভিযোগ করে বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগ ও বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলাম, গত ১৭ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্কহীন, দল থেকে পদত্যাগকারী, বিভেদ সৃষ্টিকারী ও নিষ্ক্রিয় কিছু ব্যক্তি নিয়ে গণফোরাম নাম দিয়ে ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ও মো. মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তারা কেউই গণফোরামের নির্বাচিত কমিটি থেকে পদত্যাগ না করে স্বঘোষিত একটি গঠনতন্ত্র পরিপন্থী দল গঠন করেন।
আরও পড়ুন: ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যের কারাদণ্ড
জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, এমতাবস্থায় সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ড. কামাল হোসেনকে দলের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। মো. মিজানুর রহমানকে সভাপতি পরিষদের সদস্য পদসহ দলের সাধারণ সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কার করা হয়।
সান নিউজ/কেএমএল