সান নিউজ ডেস্ক: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, জ্বালানি তেলের এমন মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে মহাবিপর্যয় সৃষ্টি হবে। প্রমাণ হলো দেশের মানুষের প্রতি সরকারের কোনো দরদ নেই। ৫১ শতাংশেরও বেশি জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নির্দয় ও নজিরবিহীন।
আরও পড়ুন: বিকেলে আসছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শনিবার (৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে শুক্রবার মধ্যরাতে প্রতি লিটার ডিজেলে ৩৪, কেরোসিনে ৩৪, অকটেনে ৪৬, পেট্রলে ৪৪ টাকা। দাম বাড়ার পর প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও প্রতি লিটার পেট্রল ১৩০ টাকা মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রেক্ষিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বিবৃতি দেন।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, অকটেনের মূল্য এক লাফে ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়ে প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। ৮৬ টাকা লিটারের পেট্রোলের দাম ৫১ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে প্রতি লিটার ৮০ টাকার বদলে বিক্রি হচ্ছে ১১৪ টাকায়। অথচ বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম এখন নিম্নমুখী।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ইউএস বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮৯ ডলারের নিচে নেমে গেছে। গত মার্চে যার দর উঠেছিল ১২৪ ডলারে। আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল বিক্রি হচ্ছে ৯৪ ডলারে। গত ৪/৫ মাসে বিভিন্ন স্থানে বেঞ্চমার্ক ক্রুড অয়েলের দাম কমেছে ২৯ থেকে ৩০ শতাংশ। সারাবিশ্বে যখন জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে, তখন দেশে তেলের মূল্য বৃদ্ধি সব মহলকে হতাশ করেছে।
জিএম কাদের আরও বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেড়ে যাবে পরিবহন ব্যয়। নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। পাশাপাশি দেশীয় পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে, বাড়বে দামও। এতে রপ্তানি শিল্পেও বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। ভয়াবহ পরিণতির দিকে অগ্রসর হবে দেশের অর্থনীতি। হাহাকার উঠবে সাধারণ মানুষের পরিবারে। তাই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।
সান নিউজ/কেএমএল