নিজস্ব প্রতিবেদক:
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেচেন, বিএনপি যে ক্রমাগত অবান্তর কথা বলে, তা সাহেদের গ্রেপ্তারে প্রমাণ হয়ে গেছে।
বুধবার (১৫ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যদি সাহেদের মদদদাতা ধরতে হয়, তাহলে হাওয়া ভবন থেকে যারা মদদ দিয়েছিলেন এবং স্কাইপিতে যখন তারেক রহমানের সঙ্গে তিনি কথা বলেছিলেন, সে বিষয়ে বিএনপি কি বলবে? অবশ্যই সাহেদের অপকর্মের সঙ্গে যদি অন্য কেউ যুক্ত থাকেন, তদন্তে যদি সেটি বের হয়ে আসে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাহেদের দুর্নীতি সরকারই উদ্ঘাটন করেছে এবং সাহেদের প্রতিষ্ঠানের এমডিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার প্রতিষ্ঠানের আরো অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছিল, সহসা সাহেদকে গ্রেপ্তার করতে তারা সক্ষম হবে। শেষ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাহেদকে গ্রেপ্তার করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এতে প্রমাণিত হয়, বিএনপি ক্রমাগত অবান্তর কথা বলে এবং এ নিয়ে বিএনপি এতোদিন যা বলে এসেছিল, সেগুলো তারই ধারাবাহিকতা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতি-অনিয়মের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন এ ক্ষেত্রে কে কোন দল বা মতের সেটি কখনোই দেখা হয়নি। যদি আওয়ামী লীগের কেউ হয়, এমনকি পদধারী নেতাও যদি হয়, তার বিরুদ্ধেও কিন্তু অতীতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের বিষয়ে ড. হাছান বলেন, বিক্ষোভ যে কারো বিরুদ্ধেই হতে পারে, যে কেউ তার ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারেন, এটি গণতান্ত্রিক রীতিনীতিরই অংশ।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যখন বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করে, তখন প্রথম থেকেই তাদের আরও সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন ছিল। তাহলে সাহেদের রিজেন্ট কিম্বা জেকেজির মতো প্রতিষ্ঠান এক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ পেতো না।’
অনলাইন সংবাদ পোর্টাল নিবন্ধনের বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। আবেদন করা অনলাইনগুলোর বিষয়ে একটি সংস্থার পক্ষ থেকে ১৬শ’র বেশি এবং আরেকটি সংস্থা থেকে একশ’র মতো তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এ মাসের মধ্যেই আরো তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা অনলাইনগুলোকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া শুরু করবো। যে সমস্ত অনলাইনের ব্যাপারে নেতিবাচক প্রতিবেদন এসেছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা সেগুলোর বিষয়ে পদক্ষেপ নেবো।’
‘আর যে সমস্ত অনলাইন গুজব ছড়ায়, তাদের অনেকগুলোই আবার ক্ষণে ক্ষণে পরিচয় পরিবর্তন করে। দেশে বা বিদেশ থেকে যেসমস্ত অনলাইন পোর্টাল এভাবে পরিচয় পরিবর্তন করে পরিচালনা করছে, সেগুলোর বিষয়ে প্রযুক্তিগতভাবে আরো দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি’- বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ভবিষ্যতে কোনো অনলাইনের মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হলে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: বাসস।
সান নিউজ/ আরএইচ