নিজস্ব প্রতিনিধি:
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১৪ জুলাই)। গত বছরের ১৪ জুলাই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮৯ বছর বয়সে মারা যান সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
জাপা সূত্রে জানা গেছে, এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের, রওশন এরশাদ ও বিদিশা সিদ্দিকী আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করছেন। তারা কেউ কারও কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন না।
দলের ব্যানারে গৃহীত কর্মসূচিগুলোতে জি এম কাদের অংশগ্রহণ করবেন। দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে রংপুরে এরশাদের কবর জিয়ারত করতে যাবেন জি এম কাদের এবং সেখান থেকে ফিরে বিকালে বনানীতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিলে অংশ নেবেন তিনি। এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন না এরশাদের দুই ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ ও এরিক এরশাদ।
বেলা ১১টায় গুলশানে রওশন এরশাদ নিজের বাসভবনে এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন। মায়ের নেওয়া এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন সাদ এরশাদ। আর বাদ আছর সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিকীর তত্ত্বাবধানে ও এরশাদ ট্রাস্টের আয়োজনে বারিধারায় প্রেসিডেন্ট পার্কে এরশাদের প্রতীকী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, স্মরণ সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের জানান, ‘এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যে যার মতো করে কর্মসূচি পালন করছেন। রওশন এরশাদ তার মতো কর্মসূচি পালন করছেন এবং ট্রাস্ট আলাদা আয়োজন করেছে। এতে করে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে—বিষয়টি এমন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দলের কর্মসূচিগুলোতে অংশ নিচ্ছি। তারা তাদের কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। এখানে বিভক্তির কিছু নেই।’
সাদ এরশাদ বলেন, ‘আমি একা মানুষ, চাইলেই তো সব কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারি না। আমি সকালে মায়ের আয়োজনে অনুষ্ঠেয় মিলাদ মাহফিলে যাবো।’
কর্মসূচির ব্যাপারে বিদিশা সিদ্দিকী জানান, ‘এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তিনদিন বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে ট্রাস্টের আয়োজনে। মূল অনুষ্ঠান মঙ্গলবার বিকালে হবে। সেখানে দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
পার্টির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুসারে, এরশাদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। এরশাদের বাবা রংপুরের আইনজীবী মকবুল হোসেন ও মাতা মাজিদা খাতুন। ব্যক্তিজীবনে এরশাদ দুটি বিয়ে করেছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী রওশন এরশাদ। দ্বিতীয়বার তিনি বিয়ে করেন বিদিশাকে। পরে তাদের বিচ্ছেদ হয়। বিদিশা ও এরশাদের সংসারে রয়েছেন ছেলে এরিক এরশাদ।
১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেন এরশাদ। এরপর ১৯৫২ সালে তার কর্মজীবন শুরু হয়েছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। এরপর তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছেন, সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন, সর্বশেষ তিনি একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতাও ছিলেন।
সান নিউজ/ এআর