সান নিউজ ডেস্ক: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় মামির সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন নুরুজ্জামান (৩৫) নামের এক যুবদল নেতা। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় আদিতমারী থানায় নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়েরের পর ভাগিনা নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: আমি আমার জায়গায় আছি
এর আগে বুধবার (১৩ জুলাই) দিনগত রাতে গণধোলাই দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। নুরুজ্জামান কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর এলাকার নুরুল হকের ছেলে ও চন্দ্রপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক।
সারপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ কবির হোসেন জানান, দীর্ঘ ৮ বছর আগে সারপুকুর ইউনিয়নের দেল্লারপাড় এলাকার মামি রুমীর সাথে কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের আপেল মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। ইতিমধ্যে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এর কিছুদিন পর আপেলের আপন ভাগিনা মোঃ নুরুজ্জামানের কুনজর পড়ে তার মামি রুমীর ওপর। ভাগিনা অর্থবান হওয়ায় মামা আপেল মিয়াকে সুকৌশলে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। এরপর তার মামিকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তার প্রেমে পড়তে বাধ্য করান মামিকে। ভাগিনার ভয়ভীতির কারনে এক পর্যায়ে ভাগিনার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মামি রুমী বেগম। মামা জেল হাজতে থাকার সুযোগে ভাগিনা প্রতিদিন মামির সাথে রাত্রী যাপন করতে থাকেন। এরই মধ্যে মামা আপেল মিয়া জেল থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপরেও মামা বাড়িতে না থাকলে খোঁজখবর নিয়ে ভাগিনা নুরুজ্জামান চলে যান মামির কাছে। শুরু হয় দুজনের মধ্যে আদিম খেলা। এক পর্যায়ে ভাগিনার এমন ভালবাসায় মামি আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ে। ভাগিনা নুরুজ্জামান অর্থবান হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে মামির জন্য নানা রকম লোভনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যেতেন।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ হলেন তরুণ পেসার শহিদুল
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি এলাকায় চাউর হলে একাধিকবার বিচার সালিসও হয়। সালিসে মীমাংসার কিছুদিন পর আবারও শুরু হয় তাদের প্রেমের সম্পর্ক। পরে অনেকটা বাধ্য হয়ে স্বামী আপেল মিয়া তার স্ত্রী রুমিকে তার বাপের বাড়ি আদিতমারী উপজেলার সারপুকুরে পাঠিয়ে দেয়। এর পর হতে প্রায় এক বছর ধরে সারপুকুরে বাপের বাড়িতেই বসবাস করে আসছেন মামি রুমী। বাবার বাড়িতে যাওয়ার কিছুদিন পর মামি-ভাগিনার মধ্যে যোগাযোগ স্বাভাবিক হলে সেখানে অবাধে চলে নুরুজ্জামানের যাতায়াত। বিষয়টি এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা নুরুজ্জামানে আসার অপেক্ষায় থাকেন এবং বৃহস্পতিবার তাদের দুজনকে মামি রুমির থাকার ঘরের মেঝেতে আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন ভাগিনা নুরুজ্জামান ও মামিকে। স্থানীয়রা খবর দিলে পুলিশে হস্তান্তর করি।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোক্তারুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তকে থানায় আনা হয়েছে। পরে নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করে আটক নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সান নিউজ/কেএমএল