সান নিউজ ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার হৃদপিণ্ডে আরো দুটি ব্লক পাওয়া যাওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানালেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
আরও পড়ুন: ভালো নির্বাচন করতে পারবো
রোববার (১২ জুন) দুপুরে অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, শনিবার (১১ জুন) বেলা দুইটা থেকে খালেদা জিয়াকে ৭২ ঘণ্টার জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত উনি শারীরিকভাবে যে অবস্থায় আছেন, ডাক্তারদের বক্তব্য হল, ৭২ ঘণ্টা না গেলে কোনো কমেন্ট করা ঠিক হবে না। সেজন্য উনারা কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন।
সিসিইউতে খালেদাকে কার্ডিওলস্টিদের পর্যবেক্ষেণে রাখার কথা জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, গতকাল ম্যাডামের হার্টে এনজিওগ্রাম করার পর তিনটা ব্লক পাওয়া যায়। একটা ব্লক মেইন গ্রেট ভেসেল, যেটা লেফট সাইডে, সেটায় মোর দ্য ৯৫% ব্লক ছিল। বাকি দুটি ব্লকের আচরণ কেমন হবে তা এখন বলা মুশকিল। বর্তমানে হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল খালেদা জিয়াকে দেখভাল করছেন বলেও জানান তিনি।
হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শুক্রবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়।
শনিবার সকালে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করে জরুরিভিত্তিতে এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেয়। দুপুরে অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে এনজিওগ্রাম করা হলে ব্লক ধরা পড়ায় সেখানে রিং পরানো হয়।
আরও পড়ুন: আশা করি, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এ নিয়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হলো। তৃতীয় দফায় প্রায় ৩ মাস হাসপাতালে থাকতে হয়েছে তাকে।
তখন পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও বহু বছর ধরে তিনি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর আগে সর্বশেষ ৬ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে একই হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সান নিউজ/এনকে