সান নিউজ ডেস্ক: জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ তার মাকে রোববার (১৭ এপ্রিল) রাতে মোবাইল ফোনে বলেছেন, মা আমি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হয়েছি। নিশ্চয় তুমি এর মধ্যে জেনে গেছ। জানি, তোমাদের কাছে এত বড় গৌরবের খবর এখন ভালো নাও লাগতে পারে। তবে দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে। মা এবার আমি তোমাদের অনুরোধ করব-তোমরা আর সময় নষ্ট করো না। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জাতীয়তাবাদী শক্তির পতাকাতলে চলে আসো।
আরও পড়ুন: ছাত্রদল সভাপতির পরিচয় নিয়ে তোলপাড়
সোমবার গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠন নিয়ে বিশদ পরিকল্পনা, প্রস্তুতির কথা বলতে গিয়ে শুরুতেই অনেকটা আবেগঘন কণ্ঠে এমন কথা বলেন।
তিনি বলেন, একই সঙ্গে দেশের প্রতিটি আওয়ামী লীগ পরিবারের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছেও আমার একই আহ্বান থাকবে। আসুন, দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে থাকুন, দেশ গঠনে কাজ করুন।
প্রসঙ্গত, রোববার (১৭ ) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটি ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানাভাবে আলোচিত হচ্ছে শ্রাবণের সভাপতি হওয়ার বিষয়টি।
আরও পড়ুন: ইউপি চেয়ারম্যানকে তুলে নেওয়ার হুমকি
এর আগে ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। সেই সময় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী হওয়া নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। ওই সম্মেলনে ভোটে হেরে তিনি সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোনীত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রাবণ ছাত্রদল করায় কয়েক বছর আগে তার সঙ্গে পরিবারের বন্ধন ছিন্ন করার ঘোষণা দেন বাবা রফিকুল ইসলাম। তবে কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে। কিছুদিনের মধ্যেই ছাত্রদল কর্মী হিসেবে হল ও বিভাগের সহপাঠীদের মধ্যে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি।
সেই থেকে বাড়ির সঙ্গে তার যোগাযোগ কমে আসে। পরিবারের সবাই অনেক চেষ্টা করেও ছাত্রদল ও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারেননি।
এ বিষয়ে এর আগে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ জানিয়েছেন, কেশবপুর কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় থেকেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।
সান নিউজ/এনকে