সান নিউজ ডেস্ক : ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন মহামান্য আদালত।
আরও পড়ুন : বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে বসেছে ইসি
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত । একইসঙ্গে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সম্রাটকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
এর আগে গত ৭ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটির অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু সম্রাট অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা যায়নি মর্মে আদালতকে অবহিত করে কারা কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন : রোহিঙ্গা দমন-পীড়ন ‘গণহত্যা’
এছাড়া সম্রাটের জামিন চেয়ে তার আইনজীবী আবেদন করেন। এরপর আদালত সম্রাটের উপস্থিতিতে ২২ মার্চ জামিন শুনানি ও অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন। দুদক মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।
আরও পড়ুন : মারিওপোল এখন পৃথিবীর ‘নরক’
মামলার অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
রাজধানীর মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন তিনি। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন : মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৫৮
অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমণ্ডি, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন তিনি। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে তার ১ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
আরও পড়ুন : সেনাবাহিনী গঠনের পরিকল্পনা নেই
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সান নিউজ/এইচএন