নোয়াখালী প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদের সহ ১৮জনকে অভিযুক্ত করে জনতার আদালতে (সাধারণ ডায়েরি) জিডি করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। তার দাবি তাকে হত্যা ও নেতা-কর্মী শূন্য করার জন্য তারা নীলনকশা এঁকেছে।
ওই জিডিতে ফেনী-২ ( ফেনী সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী ও নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী এবং নোয়াখালীর এসপি ও কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও-ওসি সহ ১৮জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগের তীর ছোড়ে কাদের মির্জা। কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।
বুধবার (২ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কাদের মির্জা তার ফেসবুক পেজ থেকে এক স্ট্যাটাসে জনতার আদালতে এ জিডি করেন।
এ ছাড়াও জিডিতে তার দুই ভাগনের নামও রয়েছে। তারা হলেন কাদের মির্জার ছোট বোনের ছেলে তার অন্যতম প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত ফখরুল ইসলাম রাহাত ও রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকিন রিমন।
আর ওপড়ুন:বিজয়নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রীর ভাগনে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সিরাজিস সালেকিন রিমন বলেন,কাদের মির্জার এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। বরং কোম্পানীগঞ্জের গত এক বছর অস্থিতিশীল পরিস্থিতির নৈপথ্যের মূল নায়ক তিনি। কোম্পানীগঞ্জে যখন কাদের মির্জার পেশীবাদী রাজনীতি ও লুটপাটের রাজনীতি বন্ধ হতে যাচ্ছে। এটার বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ স্বোচ্ছার। তখনই তিনি কূটচাল শুরু করেছেন। প্রশাসননের কর্মকর্তারা যখন ওনার অন্যায় আবদার ও পেশীবাদী মানসিকতাকে সাপোর্ট দিচ্ছেনা। তখনই এসপি,ইউএনও,ওসির বিরুদ্ধে তিনি বিষেদাগার করছেন। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিষেদগারই এখন তার মূল হাতিয়ার।
কাদের মির্জার ফেসবুক স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়। তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী ২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, কাদের মির্জা কি করছে, না করছে,এটা আমার বিবেচ্য বিষয় নয়। সে কি করে, না করে, এটা আমি জানতেও চাইনা। আমি হচ্ছি ফেনীতে। আমি ফেনীর বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাবো। নোয়াখালীর কোন বিষয়, এগুলো আমার চিন্তা চেতনার মধ্যে নেই। মির্জা আমার বিরুদ্ধে কি করল না করল,সেটা নিয়ে আমি চিন্তাও করিনা।
আর ওপড়ুন:শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার আসামি গ্রেফতার
কাদের মির্জার স্ট্যটাসটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো। স্ট্যাটাসে কাদের মির্জা অভিযোগ করে লিখেন,আমাকে হত্যা ও নেতা-কর্মী শূন্য করার জন্য যারা নীলনকশা এঁকেছে তাদের বিরুদ্ধে জনতার আদালতে জি.ডি করলাম। ১। ইসরাতুনেসা কাদের ২। নিজাম হাজারী ৩। একরামুল করিম ৪। ফখরুল ইসলাম রাহাত ৫। মিজানুর রহমান বাদল ৬। খিজির হায়াত ৭। আজম পাশা রুমেল ৮। সিরাজিস সালেকিন রিমন । কানা আবদুর রেজ্জাক ১০। জাহেদুল হক কচি ১১। হানিফ সবুজ ১২। নজরুল ইসলাম শাহিন ১৩। আজ্জুমান পারভীন রুনু ১৪। শহীদুল হক (এস.পি, নোয়াখালী)১৫। জিয়াউল হক মীর (ট.ঘ.ঙ কোম্পানীগঞ্জ) ১৬। সাজ্জাদ রোমন (ড়প কোম্পানীগঞ্জ) ১৭। দিদারুল কবির রতন। ১৮ জাহাঙ্গীর (মন্ত্রী মহোদয়ের কথিত সহকারী।
আর ওপড়ুন:জায়েদ খানের পদ বহাল
তিনি আরও লিখেন,বিচারপতির কাছে বিচার চেয়েছি বিচার পাইনি। তাই বিচারপতির বিচার করে যেই জনতা বিচার দিলাম সেই জনতার কাছে। যে জনগণ আমার প্রাণ শক্তি সেই জনগণ আমাকে প্রেরণা যোগাবেন। সত্যের যে প্রদীপ শিখা জ্বালিয়েছি রাজভয়/লোকভয় তা কখনোই নেবাতে পারবে না। মহান আল্লাহ আমার সহায় হোক। দোয়া করবেন সকলে।
সাননিউজ/এমআরএস